চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পুলিশের তৎপরতায় ঘটেছে ব্যতিক্রম এক ঘটনা। সাজাপ্রাপ্ত ও পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি বোরখা পরে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। এ অভিযানে সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন থানার এসআই (নিঃ) আল আমিন ভূঁইয়া। পুরো অভিযানে নেতৃত্বে থেকে দিকনির্দেশনা দেন শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাসার, পিপিএম (বার)।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে শাহরাস্তি থানা পুলিশের এই অভিযান পরিচালিত হয়। সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় জাহিদুল ইসলাম অভি (২৪) নামের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে।
গ্রেফতারকৃত অভি শাহরাস্তি উপজেলার রাগৈ গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি জিআর মামলা নং–১০৯/২১ (১ বছর ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত), জিআর–১১৪৭/২৩ ও জিআর–৩৬/২৩ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযানের সময় আসামি নারী বেশে বোরখা পরে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু এসআই আল আমিন ভূঁইয়া পরিস্থিতি বুঝে কৌশলে তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপরই প্রকাশ পায় তার প্রকৃত পরিচয়।
এ প্রসঙ্গে ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন,
“এসআই আল আমিন ভূঁইয়া দায়িত্বশীলতা ও তীক্ষ্ণ নজরদারির মাধ্যমে এক ব্যতিক্রম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। আইনের বাইরে কেউ নয়—শাহরাস্তি থানা সবসময় অপরাধ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন, শাহরাস্তি থানার সাম্প্রতিক সফল অভিযানগুলোতে ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসারের কৌশলগত নেতৃত্ব এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিবেদিত মনোভাব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন আস্থা তৈরি করেছে।
শাহরাস্তিতে পুলিশের এই সফল অভিযান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একদিকে এসআই আল আমিন ভূঁইয়ার তৎপরতা, অন্যদিকে ওসি আবুল বাসারের কঠোর অবস্থান—দুজনের সমন্বিত পদক্ষেপে আবারও প্রমাণ হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শাহরাস্তি থানা সবসময় এক ধাপ এগিয়ে।