ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

শাহরাস্তিতে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সামাজিক করণীয় নিয়ে উদ্বেগ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি প্রতিরোধ এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ঘটনায় কিশোর অপরাধের বিষয় সামনে আসায় অভিভাবক, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় থাকতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে উদ্যোগ না নিলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, পারিবারিক অবহেলা, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, মাদকাসক্তি এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার কিশোরদের গ্যাং-সংস্কৃতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভিভাবকদের অনেকেই সন্তানদের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছেন না, ফলে তারা সহজেই অযাচিত বন্ধুমহলের প্রভাবে পড়ছে। স্কুল-কলেজ থেকে ছিটকে যাওয়া কিশোররাও এ সুযোগে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

স্থানীয় শিক্ষক আবদুল মান্নান মনে করেন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে কিশোরদের সম্পৃক্ত করা গেলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। তার ভাষায়, “কিশোররা যদি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে, তাহলে তারা গ্যাং কালচারের দিকে যাবে না।”

এদিকে সমাজকর্মীরা বলছেন, শুধু শাস্তি নয়, বরং কিশোর অপরাধীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কিশোরদের ইতিবাচক কাজে যুক্ত করার উদ্যোগ নিলে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শাহরাস্তির মতো তুলনামূলক শান্ত এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের শেকড় গজানোর আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও প্রশাসন একসাথে কাজ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে না।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ইমাম-খতিব, পরিবহন চালক ও ব্যবসায়ীদের সাথে জামায়াতে ইসলামী’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শাহরাস্তিতে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সামাজিক করণীয় নিয়ে উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০১:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি প্রতিরোধ এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ঘটনায় কিশোর অপরাধের বিষয় সামনে আসায় অভিভাবক, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় থাকতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে উদ্যোগ না নিলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, পারিবারিক অবহেলা, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, মাদকাসক্তি এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার কিশোরদের গ্যাং-সংস্কৃতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভিভাবকদের অনেকেই সন্তানদের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছেন না, ফলে তারা সহজেই অযাচিত বন্ধুমহলের প্রভাবে পড়ছে। স্কুল-কলেজ থেকে ছিটকে যাওয়া কিশোররাও এ সুযোগে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

স্থানীয় শিক্ষক আবদুল মান্নান মনে করেন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে কিশোরদের সম্পৃক্ত করা গেলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। তার ভাষায়, “কিশোররা যদি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে, তাহলে তারা গ্যাং কালচারের দিকে যাবে না।”

এদিকে সমাজকর্মীরা বলছেন, শুধু শাস্তি নয়, বরং কিশোর অপরাধীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কিশোরদের ইতিবাচক কাজে যুক্ত করার উদ্যোগ নিলে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শাহরাস্তির মতো তুলনামূলক শান্ত এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের শেকড় গজানোর আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও প্রশাসন একসাথে কাজ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে না।

Facebook Comments Box