ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমীর আয়োজনে ট্যালেন্ট হান্টের পর্দা উঠলো আজ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন মৌসুমি সরকার শাহরাস্তিতে দেবরের কোদালের কোপে ভাবির মৃত্যু প্রিয় নেতাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে শরিফ খান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মৌসুমিকে বিজয়ী করতে চায় জনগণ আবদুল জলিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবেন বলে জানালেন সাধারণ জনতা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মৌসুমী সরকার শাহরাস্তি উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওমর ফারুক রুমির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় শাহরাস্তিতে সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ইরানের মতবিনিময় শাহরাস্তিতে সাংবাদিকদের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুন নাহার স্বপ্নার মতবিনিময়

হাজীগঞ্জে ভিসা দালাল সুমনের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব কচুয়ার সুজন

  • রিয়াজ শাওন
  • Update Time : ০৫:০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • ৫০২৬৭ Time View

রিয়াজ শাওন:

“কষ্টের দিন শেষ হবে একদিন” এমন বুক ভরা স্বপ্ন গেথেঁ ছিলেন কচুয়ার ছেলে সুজন। কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কষ্টের দিনগুলো মুছে দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবে এমন স্বপ্ন দেখিয়েছিন পরিবারকে।

কিন্ত তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিলেন দালাল ‍সুজন। প্রবাসে পাড়ি জমাবেন এমন আশা দালাল সুমনকে ৩ লক্ষ টাকা দেন সুজন। কিন্তু এই টাকা নেওয়ার পর গত এক বছরেও সুজনকে ভিসা দেয়নি দালাল সুমন। উল্টো প্রবাস থেকে মোবাইল ফোনে নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন দালাল সুমন মিয়া। তাকে এই টাকা দিয়ে এখন দিনমজুর সুজন পথে পথে ঘুরছেন। দালাল সুমনের পরিবারের কাছে গিয়েও পাত্তা পায়নি অসহায় সুজন।

জানা যায়, দালাল সুমন মিয়ার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর। ওই গ্রামের নোয়া বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আর দালাল সুমন মিয়ার খপ্পরে পড়া দিন মজুর সুজন মিয়া কচুয়া উপজেলার নলুয়া গ্রামের ইজরা বাড়ির মফিজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ভিসা দালাল সুমন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ক্ষতিগ্রস্ত সুজন মিয়ার। পরিচয় হওয়ার কিছুদিন পরই সুজন মিয়াকে ভালো একটি ভিসা আছে এমন একটি সংবাদ দেন বেলঘর গ্রামের ভিসা দালাল সুমন মিয়া। ভিসার দর দামও চুড়ান্ত করে পেলেন দু’জনেই। স্বাক্ষী রেখে ভিসা দালাল সুমনকে ৩ লক্ষ টাকা দেন সুজন। কিন্ত স্বাক্ষী রেখে টাকা দিয়েও কুল কিনারা পাচ্ছেন না দিনমজুর সুজন। সংসারের গ্লানি টানতে গিয়ে দিন পার হয়ে যায় সুজন মিয়ার। দিন শেষে দালাল সুমনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে না পারায় ভেঙ্গে পড়ছেন সুজন। ২ মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে তার ৪ জনের সংসার। এরপরও তিনি থেমে নেই। দালাল সুমনের থেকে টাকা ফেরত পেতে পুলিশ সুপারসহ থানা পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছেন। একদিকে প্রবাস থেকে দালাল সুমনের হুমকি-ধমকি, আর অন্যদিকে সংসারের গ্লানি টানার চিন্তায় পা চলেনা নলুয়া গ্রামের দিনমজুর সুজন মিয়ার।

সুজন মিয়া বলেন, সংসারের অভাব অনটন দূর করতে প্রবাসে পাড়ি দিতে এলাকার বিভিন্নজন থেকে সুদে টাকা এনে ভিসা দালাল সুমনকে দেই। তাকে টাকা ভিসা দেই দিচ্ছি বলে আমার সাথে টালবাহানা শুরু করে। প্রায় একটি বছর শেষ হলেও টাকা বা ভিসা দেয়নি বেলঘর গ্রামের দালাল সুমন। উল্টো সে আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন, টাকা না দিলে আমি তার কি করতে পারবো।

এই বিষয়ে দালাল সুমনের সাথে তার বিদেশি নাম্বারে কল দিয়ে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে জানতে দালাল সুমন এর বাড়িতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপস্থিত টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় তার বাবা সিরাজুল ইসলাম। এরপর তাকে বার বার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আর দালাল সুমনের মা সালেহা বেগম সুজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানেন না। আমার ছেলে টাকা নিলে টাকা দিয়ে দিবে। আমার ছেলের টাকার কোন অভাব নাই।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমীর আয়োজনে ট্যালেন্ট হান্টের পর্দা উঠলো আজ

হাজীগঞ্জে ভিসা দালাল সুমনের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব কচুয়ার সুজন

Update Time : ০৫:০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

রিয়াজ শাওন:

“কষ্টের দিন শেষ হবে একদিন” এমন বুক ভরা স্বপ্ন গেথেঁ ছিলেন কচুয়ার ছেলে সুজন। কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কষ্টের দিনগুলো মুছে দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবে এমন স্বপ্ন দেখিয়েছিন পরিবারকে।

কিন্ত তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিলেন দালাল ‍সুজন। প্রবাসে পাড়ি জমাবেন এমন আশা দালাল সুমনকে ৩ লক্ষ টাকা দেন সুজন। কিন্তু এই টাকা নেওয়ার পর গত এক বছরেও সুজনকে ভিসা দেয়নি দালাল সুমন। উল্টো প্রবাস থেকে মোবাইল ফোনে নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন দালাল সুমন মিয়া। তাকে এই টাকা দিয়ে এখন দিনমজুর সুজন পথে পথে ঘুরছেন। দালাল সুমনের পরিবারের কাছে গিয়েও পাত্তা পায়নি অসহায় সুজন।

জানা যায়, দালাল সুমন মিয়ার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর। ওই গ্রামের নোয়া বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আর দালাল সুমন মিয়ার খপ্পরে পড়া দিন মজুর সুজন মিয়া কচুয়া উপজেলার নলুয়া গ্রামের ইজরা বাড়ির মফিজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ভিসা দালাল সুমন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ক্ষতিগ্রস্ত সুজন মিয়ার। পরিচয় হওয়ার কিছুদিন পরই সুজন মিয়াকে ভালো একটি ভিসা আছে এমন একটি সংবাদ দেন বেলঘর গ্রামের ভিসা দালাল সুমন মিয়া। ভিসার দর দামও চুড়ান্ত করে পেলেন দু’জনেই। স্বাক্ষী রেখে ভিসা দালাল সুমনকে ৩ লক্ষ টাকা দেন সুজন। কিন্ত স্বাক্ষী রেখে টাকা দিয়েও কুল কিনারা পাচ্ছেন না দিনমজুর সুজন। সংসারের গ্লানি টানতে গিয়ে দিন পার হয়ে যায় সুজন মিয়ার। দিন শেষে দালাল সুমনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে না পারায় ভেঙ্গে পড়ছেন সুজন। ২ মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে তার ৪ জনের সংসার। এরপরও তিনি থেমে নেই। দালাল সুমনের থেকে টাকা ফেরত পেতে পুলিশ সুপারসহ থানা পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছেন। একদিকে প্রবাস থেকে দালাল সুমনের হুমকি-ধমকি, আর অন্যদিকে সংসারের গ্লানি টানার চিন্তায় পা চলেনা নলুয়া গ্রামের দিনমজুর সুজন মিয়ার।

সুজন মিয়া বলেন, সংসারের অভাব অনটন দূর করতে প্রবাসে পাড়ি দিতে এলাকার বিভিন্নজন থেকে সুদে টাকা এনে ভিসা দালাল সুমনকে দেই। তাকে টাকা ভিসা দেই দিচ্ছি বলে আমার সাথে টালবাহানা শুরু করে। প্রায় একটি বছর শেষ হলেও টাকা বা ভিসা দেয়নি বেলঘর গ্রামের দালাল সুমন। উল্টো সে আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন, টাকা না দিলে আমি তার কি করতে পারবো।

এই বিষয়ে দালাল সুমনের সাথে তার বিদেশি নাম্বারে কল দিয়ে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে জানতে দালাল সুমন এর বাড়িতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপস্থিত টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় তার বাবা সিরাজুল ইসলাম। এরপর তাকে বার বার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আর দালাল সুমনের মা সালেহা বেগম সুজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানেন না। আমার ছেলে টাকা নিলে টাকা দিয়ে দিবে। আমার ছেলের টাকার কোন অভাব নাই।

Facebook Comments Box