শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধি
তারেক আরবি শব্দ যার অর্থ শুকতারা। ভোররাতে পূর্বাকাশে বা সন্ধ্যারাতে পশ্চিমাকাশে অন্যান্য তারা থেকে যে তারাটি উজ্জ্বল, ঝলমলে দেখায়। সেটাকেই মূলতঃ শুকতারা বলে।
এখন বাংলাদেশের গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত রাজনীতির আকাশে যে তারুণ্যদীপ্ত মহানায়কের নাম ঝলমল করছে তিনিই আমাদের অহংকার তারেক রহমান।
বাংলাদেশের ৬৮হাজার গ্রাম বাংলার স্বপ্নের নায়ক। জীর্ণশীর্ণ গুণে ধরা জাতিকে ন্যায়পরায়ণতার সাথে এগিয়ে নিতে যে ব্যক্তিত্বের বড্ড প্রয়োজন আজ৷
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা হচ্ছে এই দেশ কারো একার নয়, সবার। সব মানুষের জন্য একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার রাজনৈতিক শক্তি এদেশে কম। জিয়াউর রহমান এই জায়গাটা ধরতে পেরেছিলেন। এজন্যই তিনি বিশেষ কোনো ইজমের পলিটিক্সের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে ধারণ করেছেন।
তারেক রহমানও বাংলাদেশের রাজনীতির এই বাংলাদেশপন্থী শক্তিটাকেই রিপ্রেজেন্ট করেন। তিনি সাম্য এবং মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন।
কথাগুলো বলেছেন গাজীপুরের শ্রীপুরের সাবেক ছাত্র নেতা ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক নাসিম মোড়ল। তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের চেয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবিক মূল্যবোধ,আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের জায়গা তারেক রহমানের ফার্স্ট প্রায়োরিটি।
তারেক রহমানের রাষ্ট্র চিন্তায় আছে মাটি,মানুষ আর বাংলাদেশের মানচিত্র, আছে এক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার আকাংখা,যেখানে মানুষকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করা হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না।
পনেরোটি বছর ধরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ যে রাষ্ট্র গঠনের জন্য জেল, জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন, গুম সহ্য করেছে সেই বাংলাদেশ গড়ার চিন্তাই তারেক রহমানের রাষ্ট্র চিন্তা। বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের স্বপ্নকে ধারণ করে আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়াই তাঁর রাজনীতির মূল লক্ষ্য।
পরিবর্তিত রাজনীতিকে সহনশীল রাজনীতি, উদার-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় নিরবে কাজ করে তারেক রহমান আজ পুরো দেশের মানুষের কাছে এক সম্ভাবনার নাম।
নাসিম মোড়ল বলেন, তাই আগামীর বাংলাদেশে তাকে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় । দেশের স্বার্থে, দশের স্বার্থে আজ তাঁর বড়ই প্রয়োজন। জাতির ক্রান্তিলগ্নে নতুন সূর্যোদয়ের মতো হাজির হবেন জাতির সামনে, দিবেন নতুন নির্দেশনা। এমনই এক ভোরের প্রত্যাশায় সমগ্র দেশের দেশের মানুষ।