ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

পিস্তল কেন, মিসাইল রাখলেও আমি-আপনি নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মনে করেন, কেবল অস্ত্র সঙ্গে রাখলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। সোমবার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই মত প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর লাগেজে গুলির ম্যাগাজিন পাওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যে তিনি জানান, ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ছিল এবং তাঁর কাছে বৈধভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি অস্ত্র রয়েছে।

পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকালের ঘটনায় উপলব্ধি করেছি—পিস্তল বা মিসাইল যাই থাকুক না কেন, কেউই নিরাপদ নই। কারণ নিরাপত্তা দুর্বল হলে অস্ত্রের কোনো মানে হয় না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, মুহূর্তের মধ্যেই বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ বিদেশে থাকা কোনো ব্যক্তির হাতে পৌঁছে গেছে। এ ধরনের নজরদারি কাঠামো আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এটি প্রমাণ করে, দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর একাংশের বিরুদ্ধে বিদেশি চক্র বা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশের শঙ্কা অমূলক নয়।”

সরকারি দায়িত্বে থেকেও এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হওয়াকে তিনি অত্যন্ত বিপজ্জনক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। তার ভাষায়, “যদি সরকারের অংশ হয়েও আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়ি, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কতটা নাজুক তা সহজেই অনুমেয়।”

নিরাপত্তা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “যারা শত্রুর ওপর নজর রাখার কথা, তারা এখন নাগরিকদের ওপর নজরদারিতে ব্যস্ত। লেজিট কিছু না পেয়ে হাস্যকর অভিযোগ তোলে, চরিত্রহননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।”

সবশেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভবিষ্যতে গণ-আন্দোলনের নেতৃত্বের ওপর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, দায়ীদের চেনা কঠিন হবে না।”

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম থেকে গ্লোবাল ভাবনায় “পরানপুর মানব উন্নয়ন সংস্থা” — শিক্ষায় আলোকবর্তিকা জ্বালাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

পিস্তল কেন, মিসাইল রাখলেও আমি-আপনি নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ

আপডেট সময় : ১০:৪৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মনে করেন, কেবল অস্ত্র সঙ্গে রাখলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। সোমবার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই মত প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর লাগেজে গুলির ম্যাগাজিন পাওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যে তিনি জানান, ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ছিল এবং তাঁর কাছে বৈধভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি অস্ত্র রয়েছে।

পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকালের ঘটনায় উপলব্ধি করেছি—পিস্তল বা মিসাইল যাই থাকুক না কেন, কেউই নিরাপদ নই। কারণ নিরাপত্তা দুর্বল হলে অস্ত্রের কোনো মানে হয় না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, মুহূর্তের মধ্যেই বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ বিদেশে থাকা কোনো ব্যক্তির হাতে পৌঁছে গেছে। এ ধরনের নজরদারি কাঠামো আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এটি প্রমাণ করে, দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর একাংশের বিরুদ্ধে বিদেশি চক্র বা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশের শঙ্কা অমূলক নয়।”

সরকারি দায়িত্বে থেকেও এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হওয়াকে তিনি অত্যন্ত বিপজ্জনক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। তার ভাষায়, “যদি সরকারের অংশ হয়েও আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়ি, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কতটা নাজুক তা সহজেই অনুমেয়।”

নিরাপত্তা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “যারা শত্রুর ওপর নজর রাখার কথা, তারা এখন নাগরিকদের ওপর নজরদারিতে ব্যস্ত। লেজিট কিছু না পেয়ে হাস্যকর অভিযোগ তোলে, চরিত্রহননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।”

সবশেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভবিষ্যতে গণ-আন্দোলনের নেতৃত্বের ওপর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, দায়ীদের চেনা কঠিন হবে না।”

Facebook Comments Box