ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লায় ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ফজর আলী (ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত) এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় আশপাশের কয়েকজন এসে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা ফজর আলীকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। পরদিন ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণ মামলার পাশাপাশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম থেকে গ্লোবাল ভাবনায় “পরানপুর মানব উন্নয়ন সংস্থা” — শিক্ষায় আলোকবর্তিকা জ্বালাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

কুমিল্লায় ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ফজর আলী (ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত) এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় আশপাশের কয়েকজন এসে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা ফজর আলীকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। পরদিন ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণ মামলার পাশাপাশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box