ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

ঈদুল আজহা ঘিরে গরু চুরি রোধে পুলিশ সুসজ্জিত: শাহরাস্তির খামারিদের জন্য ওসি আবুল বাসারের সরাসরি সতর্ক বার্তা

ঈদুল আজহার আগমনে দেশের পশুর হাটে ও খামারগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কোরবানির পশুর যত্ন ও বিক্রির প্রস্তুতির পাশাপাশি এক ভয়ংকর আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে—গরু চুরি। এই প্রেক্ষাপটে শাহরাস্তি থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার এক ব্যতিক্রমী ও বাস্তবভিত্তিক সতর্ক বার্তা দিয়ে স্থানীয় খামারিদের দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ আইনি পরামর্শ।

ওসির খোলামেলা বার্তা:

“ঈদের আগে পশু চুরির ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে। এ সময় অসাধু চক্রগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে,” বলেন ওসি মো. আবুল বাসার। “তাই খামারিদের শুধু গরুর খাবার ও চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত না থেকে, তাদের নিরাপত্তার দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”

খামারিদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ওসি:

★ খামারে সিসিটিভি স্থাপন করুন:
প্রত্যেকটি খামারে অন্তত একটি কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে সন্দেহজনক ব্যক্তি বা চোরচক্র সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব।

★ রাত্রীকালীন পাহারা ও আলোকসজ্জা নিশ্চিত করুন:
খামার এলাকায় পর্যাপ্ত আলো রাখুন এবং রাতে পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করুন। রাতের অন্ধকারে গরু চুরি সবচেয়ে বেশি ঘটে।

★খামারের আশেপাশে সন্দেহভাজন চলাফেরা নজরে রাখুন:
অচেনা কেউ গরু দেখতে এলে তার নাম, ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করুন।

★স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন:
প্রতিটি এলাকায় বিট পুলিশ রয়েছে। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া যাবে।

★ খামার এলাকায় সন্দেহভাজন কিছু ঘটলে ৯৯৯ বা থানায় যোগাযোগ করুন:
দ্রুত যোগাযোগের জন্য শাহরাস্তি থানার হটলাইন নম্বর ০১৩২০-০৩৫৭১২ সর্বদা খোলা রয়েছে।

★ আইনি সহায়তার নিশ্চয়তা:
ওসি আশ্বাস দেন—“কোনো খামারি যদি গরু চুরির শিকার হন বা আশঙ্কা করেন, তাহলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে পুরোপুরি বিনামূল্যে।”

শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, “এটি শুধু একটি পুলিশি দায়িত্ব নয়, সামাজিক নিরাপত্তার অংশ। খামারিরা গরু বড় করতে বছরের পর বছর শ্রম দেন, সেই পরিশ্রম যেন এক রাতেই নষ্ট না হয়।”

ঈদুল আজহা শুধুই কোরবানির নয়, বরং এটি পরস্পরের নিরাপত্তা, সহমর্মিতা ও দায়িত্বশীলতার উৎসবও বটে। শাহরাস্তি থানা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ কেবল গরু খামারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না, বরং একটি সচেতন ও সুরক্ষিত সমাজ গঠনের দিকেও এগিয়ে নিচ্ছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ব্যারিস্টার মো. কামাল উদ্দিন

ঈদুল আজহা ঘিরে গরু চুরি রোধে পুলিশ সুসজ্জিত: শাহরাস্তির খামারিদের জন্য ওসি আবুল বাসারের সরাসরি সতর্ক বার্তা

আপডেট সময় : ০১:০৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ঈদুল আজহার আগমনে দেশের পশুর হাটে ও খামারগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কোরবানির পশুর যত্ন ও বিক্রির প্রস্তুতির পাশাপাশি এক ভয়ংকর আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে—গরু চুরি। এই প্রেক্ষাপটে শাহরাস্তি থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার এক ব্যতিক্রমী ও বাস্তবভিত্তিক সতর্ক বার্তা দিয়ে স্থানীয় খামারিদের দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ আইনি পরামর্শ।

ওসির খোলামেলা বার্তা:

“ঈদের আগে পশু চুরির ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে। এ সময় অসাধু চক্রগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে,” বলেন ওসি মো. আবুল বাসার। “তাই খামারিদের শুধু গরুর খাবার ও চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত না থেকে, তাদের নিরাপত্তার দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”

খামারিদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ওসি:

★ খামারে সিসিটিভি স্থাপন করুন:
প্রত্যেকটি খামারে অন্তত একটি কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে সন্দেহজনক ব্যক্তি বা চোরচক্র সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব।

★ রাত্রীকালীন পাহারা ও আলোকসজ্জা নিশ্চিত করুন:
খামার এলাকায় পর্যাপ্ত আলো রাখুন এবং রাতে পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করুন। রাতের অন্ধকারে গরু চুরি সবচেয়ে বেশি ঘটে।

★খামারের আশেপাশে সন্দেহভাজন চলাফেরা নজরে রাখুন:
অচেনা কেউ গরু দেখতে এলে তার নাম, ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করুন।

★স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন:
প্রতিটি এলাকায় বিট পুলিশ রয়েছে। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া যাবে।

★ খামার এলাকায় সন্দেহভাজন কিছু ঘটলে ৯৯৯ বা থানায় যোগাযোগ করুন:
দ্রুত যোগাযোগের জন্য শাহরাস্তি থানার হটলাইন নম্বর ০১৩২০-০৩৫৭১২ সর্বদা খোলা রয়েছে।

★ আইনি সহায়তার নিশ্চয়তা:
ওসি আশ্বাস দেন—“কোনো খামারি যদি গরু চুরির শিকার হন বা আশঙ্কা করেন, তাহলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে পুরোপুরি বিনামূল্যে।”

শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, “এটি শুধু একটি পুলিশি দায়িত্ব নয়, সামাজিক নিরাপত্তার অংশ। খামারিরা গরু বড় করতে বছরের পর বছর শ্রম দেন, সেই পরিশ্রম যেন এক রাতেই নষ্ট না হয়।”

ঈদুল আজহা শুধুই কোরবানির নয়, বরং এটি পরস্পরের নিরাপত্তা, সহমর্মিতা ও দায়িত্বশীলতার উৎসবও বটে। শাহরাস্তি থানা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ কেবল গরু খামারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না, বরং একটি সচেতন ও সুরক্ষিত সমাজ গঠনের দিকেও এগিয়ে নিচ্ছে।

Facebook Comments Box