আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কোরবানির পশুর বাজারে চাঙা আবহ তৈরি হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদে গরু ও খাসি মিলিয়ে প্রায় ১৭ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে; এর মধ্যে স্থানীয় খামারগুলো থেকে সরবরাহ সম্ভব হবে ১২ হাজার পশু।
বিশদভাবে জানা গেছে, উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ১৪ হাজার গরু ও ৩ হাজার খাসি। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার গরু ও ২ হাজার খাসি। ঘাটতি থাকা পশুগুলো জেলার বাইরের উৎস থেকে সরবরাহের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার ১৪০টি নিবন্ধিত খামার ছাড়াও অসংখ্য পারিবারিক ও ব্যক্তিগত খামারে গরু ও খাসি পালন চলছে। অনেক খামার ইতোমধ্যেই পশু বিক্রির জন্য মাঠে নেমেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাকসুদু আলম বলেন, “আমরা কোরবানির হাটগুলোতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পশু সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। প্রতিটি হাটে মেডিকেল টিম থাকবে, যারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রেগনেন্সি টেস্টসহ সকল পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেবে। ক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন, সেটাই আমাদের অঙ্গীকার।”
এদিকে স্থানীয় খামারিরাও ঈদবাজারকে ঘিরে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। শাহরাস্তির অন্যতম সুপরিচিত খামার ‘শাহরাস্তি এগ্রো’-র কর্ণধার সাখাওয়া হোসেন জানান, “আমাদের খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করা ১৪টি গরু এবার বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আশা করছি বাজার ভালো হবে এবং ক্রেতারাও সন্তুষ্ট থাকবেন।”
অন্যদিকে, উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর খামার ‘এম এস এগ্রো’-র কর্ণধার মোশারফ হোসাইন বলেন, “আমাদের খামারে এবার ১০০টিরও বেশি গরু রয়েছে। কয়েক মাসের পরিচর্যায় পশুগুলো এখন বিক্রিযোগ্য। আমরা মানসম্মত খাবার ও সেবার ওপর জোর দিয়েছি। এবার ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, শাহরাস্তির কোরবানির হাটগুলোতে এই বছর সর্বসাধারণের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, গর্ভবতী পশু চিহ্নিতকরণ, ও চিকিৎসাসহ যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
শাহরাস্তির পশুর হাটে নিরাপদ পশু ও স্বস্তির বাজার – এমনই প্রত্যাশা এবার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের।