ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানা পুলিশের সফল অভিযান, স্বর্ণের কারখানায় চুরির ঘটনায় বিপুল পরিমাণ চোরাই স্বর্ণসহ ০২ জন চোর গ্রেফতার

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানা পুলিশের পেশাদারিত্ব, বিচক্ষণতা ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্প্রতি সংঘটিত একটি চাঞ্চল্যকর স্বর্ণ চুরি মামলার রহস্য উদঘাটন এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার সম্ভব হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

গত ৩ মে ২০২৫ তারিখ গভীর রাতে শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর মধ্য বাজারস্থ ‘মক্কা জুয়েলার্স’ নামক স্বর্ণের কারখানায় সংঘটিত হয় এক চুরি। অজ্ঞাতনামা চোরেরা কারখানার টিনের চাল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ড্রয়ারে রাখা ২৫ ভরি ১২ আনা স্বর্ণালংকার (মূল্য আনুমানিক ৪১,৩৪,০০০/- টাকা) ও নগদ ৭৫,০০০/- টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৪ মে ২০২৫ তারিখ শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা (এফআইআর নং-০২, ধারা- ৪৫৭/৩৮০ দণ্ডবিধি) রুজু করা হয় এবং মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই (নিঃ) মোঃ আতোয়ার রহমান-এর উপর।

অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আবুল বাসার, পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ অলি উল্লাহ ও এসআই (নিঃ) মোঃ আতোয়ার রহমানের যৌথ প্রচেষ্টায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় মেহেরাজ (১৯), পিতা- হানিফ, মাতা- মনি বেগম, সাং- হোসেনপুর (স্বর্ণকার পাড়া)। তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় ১ ভরি ৩ আনা ৩ রত্তি চোরাই স্বর্ণ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, আরও দুইজন সহযোগীসহ সে এই চুরির সঙ্গে জড়িত।

এরই ধারাবাহিকতায়, অপর আসামী মোঃ সালাউদ্দিন (২৮), পিতা- মৃত ছাফর আলী, সাং- পরানপুর (মুন্সি বাড়ি), বর্তমান ঠিকানা- মোহাম্মদপুর, ঢাকা-কে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় ১৩ ভরি ৩ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ।

দুই আসামির হেফাজত হতে মোট ১৪ ভরি ৭ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে, যা এই চুরির ঘটনায় পুলিশের সফলতা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই অভিযান শাহরাস্তি থানার পুলিশ বাহিনীর নিরলস পরিশ্রম, গোয়েন্দা দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা যেভাবে দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে জনগণের সম্পদ রক্ষা করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ব্যারিস্টার মো. কামাল উদ্দিন

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানা পুলিশের সফল অভিযান, স্বর্ণের কারখানায় চুরির ঘটনায় বিপুল পরিমাণ চোরাই স্বর্ণসহ ০২ জন চোর গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানা পুলিশের পেশাদারিত্ব, বিচক্ষণতা ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্প্রতি সংঘটিত একটি চাঞ্চল্যকর স্বর্ণ চুরি মামলার রহস্য উদঘাটন এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার সম্ভব হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

গত ৩ মে ২০২৫ তারিখ গভীর রাতে শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর মধ্য বাজারস্থ ‘মক্কা জুয়েলার্স’ নামক স্বর্ণের কারখানায় সংঘটিত হয় এক চুরি। অজ্ঞাতনামা চোরেরা কারখানার টিনের চাল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ড্রয়ারে রাখা ২৫ ভরি ১২ আনা স্বর্ণালংকার (মূল্য আনুমানিক ৪১,৩৪,০০০/- টাকা) ও নগদ ৭৫,০০০/- টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৪ মে ২০২৫ তারিখ শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা (এফআইআর নং-০২, ধারা- ৪৫৭/৩৮০ দণ্ডবিধি) রুজু করা হয় এবং মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই (নিঃ) মোঃ আতোয়ার রহমান-এর উপর।

অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আবুল বাসার, পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ অলি উল্লাহ ও এসআই (নিঃ) মোঃ আতোয়ার রহমানের যৌথ প্রচেষ্টায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় মেহেরাজ (১৯), পিতা- হানিফ, মাতা- মনি বেগম, সাং- হোসেনপুর (স্বর্ণকার পাড়া)। তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় ১ ভরি ৩ আনা ৩ রত্তি চোরাই স্বর্ণ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, আরও দুইজন সহযোগীসহ সে এই চুরির সঙ্গে জড়িত।

এরই ধারাবাহিকতায়, অপর আসামী মোঃ সালাউদ্দিন (২৮), পিতা- মৃত ছাফর আলী, সাং- পরানপুর (মুন্সি বাড়ি), বর্তমান ঠিকানা- মোহাম্মদপুর, ঢাকা-কে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় ১৩ ভরি ৩ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ।

দুই আসামির হেফাজত হতে মোট ১৪ ভরি ৭ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে, যা এই চুরির ঘটনায় পুলিশের সফলতা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই অভিযান শাহরাস্তি থানার পুলিশ বাহিনীর নিরলস পরিশ্রম, গোয়েন্দা দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা যেভাবে দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে জনগণের সম্পদ রক্ষা করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

Facebook Comments Box