ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

শাহরাস্তিতে জনতা ব্যাংকে ৮৪ লাখ টাকা গায়েব, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক!

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া শাখা জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. জাবেদ হোসাইনকে ৮৪ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। ব্যাংকের ম্যানেজার কার্তিক চন্দ্র ঘোষ এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার (১৩ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ব্যাংক ব্যবস্থাপকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র অফিসার মো. জাবেদ হোসাইন সরকারি আরটিজিএস (RTGS) সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাব থেকে বিভিন্ন ভুয়া হিসাবের নামে একাধিক ব্যাংকে মোট ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮১৪ টাকা স্থানান্তর করেন। এই অর্থ স্থানান্তরের ঘটনা ঘটে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল ২০২৫ সালের মধ্যে।

স্থানান্তরিত টাকার বিবরণী অনুযায়ী, অর্থ পাঠানো হয় ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায়। অর্থ গ্রহণকারী হিসাবগুলো ছিল সন্দেহজনক এবং ব্যাংকের সঙ্গে কোনো প্রত্যক্ষ লেনদেন বা সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার উপযোগী ছিল না।

তদন্ত চলাকালে সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইন অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং শাহরাস্তি থানার সহায়তায় তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

গ্রেফতারকৃত জাবেদ হোসাইনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুমেদপুর গ্রামে।

শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার জানান, “অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণাদি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুতই সেখানে মামলা দায়ের করা হবে।”

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং ভবিষ্যতে ব্যাংকের সুনাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম থেকে গ্লোবাল ভাবনায় “পরানপুর মানব উন্নয়ন সংস্থা” — শিক্ষায় আলোকবর্তিকা জ্বালাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

শাহরাস্তিতে জনতা ব্যাংকে ৮৪ লাখ টাকা গায়েব, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক!

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া শাখা জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. জাবেদ হোসাইনকে ৮৪ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। ব্যাংকের ম্যানেজার কার্তিক চন্দ্র ঘোষ এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার (১৩ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ব্যাংক ব্যবস্থাপকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র অফিসার মো. জাবেদ হোসাইন সরকারি আরটিজিএস (RTGS) সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাব থেকে বিভিন্ন ভুয়া হিসাবের নামে একাধিক ব্যাংকে মোট ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮১৪ টাকা স্থানান্তর করেন। এই অর্থ স্থানান্তরের ঘটনা ঘটে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল ২০২৫ সালের মধ্যে।

স্থানান্তরিত টাকার বিবরণী অনুযায়ী, অর্থ পাঠানো হয় ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায়। অর্থ গ্রহণকারী হিসাবগুলো ছিল সন্দেহজনক এবং ব্যাংকের সঙ্গে কোনো প্রত্যক্ষ লেনদেন বা সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার উপযোগী ছিল না।

তদন্ত চলাকালে সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইন অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং শাহরাস্তি থানার সহায়তায় তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

গ্রেফতারকৃত জাবেদ হোসাইনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুমেদপুর গ্রামে।

শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার জানান, “অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণাদি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুতই সেখানে মামলা দায়ের করা হবে।”

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং ভবিষ্যতে ব্যাংকের সুনাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box