ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

শাহরাস্তিতে দুই মাস ধরে অর্ধসমাপ্ত সড়ক, বর্ষার আগে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা তীব্র

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে খনন করে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও তা অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

সাহেব বাজার সংলগ্ন নুরানি মাদরাসা থেকে শুরু করে টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বিস্তৃত এই সড়কটি স্থানীয়দের চলাচলের প্রধান পথ। খননের পর সড়কটি কাঁচা, ধুলোময় ও অসম হয়ে ওঠায় এখনই চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই বর্ষাকাল শুরু হলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন সবাই।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা বাজারে যেতে পারি না, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পায়। এখনো যদি রাস্তা পাকা না হয়, বর্ষায় পুরো এলাকা একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”

আরেকজন জানান, “পূর্বেও বন্যার সময় অনেক কষ্ট হয়েছিল। এবছরও যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে যাবে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ্য সংকট দেখা দিতে পারে।”

এলাকাবাসী জানান, তারা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

তাদের আশঙ্কা, বর্ষা শুরু হলে এই সড়কের দূরবস্থা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব পড়বে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম থেকে গ্লোবাল ভাবনায় “পরানপুর মানব উন্নয়ন সংস্থা” — শিক্ষায় আলোকবর্তিকা জ্বালাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

শাহরাস্তিতে দুই মাস ধরে অর্ধসমাপ্ত সড়ক, বর্ষার আগে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা তীব্র

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে খনন করে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও তা অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

সাহেব বাজার সংলগ্ন নুরানি মাদরাসা থেকে শুরু করে টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বিস্তৃত এই সড়কটি স্থানীয়দের চলাচলের প্রধান পথ। খননের পর সড়কটি কাঁচা, ধুলোময় ও অসম হয়ে ওঠায় এখনই চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই বর্ষাকাল শুরু হলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন সবাই।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা বাজারে যেতে পারি না, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পায়। এখনো যদি রাস্তা পাকা না হয়, বর্ষায় পুরো এলাকা একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”

আরেকজন জানান, “পূর্বেও বন্যার সময় অনেক কষ্ট হয়েছিল। এবছরও যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে যাবে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ্য সংকট দেখা দিতে পারে।”

এলাকাবাসী জানান, তারা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

তাদের আশঙ্কা, বর্ষা শুরু হলে এই সড়কের দূরবস্থা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব পড়বে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর।

Facebook Comments Box