আগামীকাল বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ থেকে সারাদেশের মতো চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায়ও শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও দাখিল পরীক্ষা। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর এই প্রথম জাতীয় পর্যায়ের বড় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, সরকারের জন্যও একধরনের অগ্নিপরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলায় এবার ৩৯১৪ জন এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পর্যায়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। উপজেলার নয়টি কেন্দ্রে ইতিমধ্যে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এবারের পরীক্ষায় নেয়া হয়েছে বেশ কিছু কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ডিজিটাল লকিং প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে, যা নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্নপত্র খোলার কোনো সুযোগ দেবে না। পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে—শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব এবং ভিজিল্যান্স টিম নির্ধারিত মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া, প্রতিটি কেন্দ্রের আশেপাশে ২০০ গজ এলাকার মধ্যে সাধারণ মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন রয়েছে প্রস্তুতির উত্তেজনা, তেমনি কিছুটা উদ্বেগও। শাহরাস্তি বহুমুখী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, “আমরা নিয়মিত ক্লাস করেছি, পরীক্ষা নিয়ে প্রস্তুতিও নিয়েছি। তবে প্রশ্ন ঠিকমতো আসবে কি না, সময়মতো শুরু হবে কি না—এই চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে।” অন্যদিকে এক অভিভাবক বলেন, “শুধু নকলমুক্ত পরিবেশ না, ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রেও যেন স্বচ্ছতা বজায় থাকে, আমরা সেই প্রত্যাশাই করছি।”
সবমিলিয়ে শাহরাস্তি উপজেলা এবার পরীক্ষার জন্য অনেক বেশি প্রস্তুত, গোছানো ও আত্মবিশ্বাসী। তবে এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারের দক্ষতাও মূল্যায়িত হবে। তাই বলা যায়, ২০২৫ সালের এই এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শুধু একটি শিক্ষা কার্যক্রম নয়—এটি দেশের শিক্ষানীতি, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় অগ্রগতির প্রতিচ্ছবি।