ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

১৭ রমজান: ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের ঐতিহাসিক বিজয়

ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে (২ হিজরি) এই দিনে মদিনার নবগঠিত মুসলিম বাহিনী ও মক্কার কুরাইশ বাহিনীর মধ্যে বদরের প্রান্তরে এক মহারণ সংঘটিত হয়, যা ‘বদর যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।

মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), আর কুরাইশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহলসহ অন্যান্য প্রধান নেতারা। প্রায় ৩১৩ জন মুসলিম যোদ্ধার মুখোমুখি হয়েছিল প্রায় ১০০০ সৈন্যবিশিষ্ট সুসজ্জিত কুরাইশ বাহিনী।

যুদ্ধ শুরুর আগে মহানবী (সা.) আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন এবং তাঁর সাহসী সাহাবিরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে তারা ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন। যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলিম বাহিনীর ঈমানি শক্তি, নবীর কৌশল এবং আল্লাহর সাহায্যের ফলে কুরাইশরা পরাজিত হয়। মুসলিমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে, যেখানে কুরাইশ বাহিনীর প্রধান নেতাদের অনেকেই নিহত হয় এবং অনেককে বন্দি করা হয়।

বদরের যুদ্ধ ইসলামের অগ্রযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এটি মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং ইসলাম প্রচারে নবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে। এই বিজয় প্রমাণ করে যে ঈমান ও ন্যায়নীতির ওপর অবিচল থাকলে, সামান্য শক্তি নিয়েও বড় শত্রুকে পরাজিত করা সম্ভব।

আজও ১৭ রমজান বদরের যুদ্ধের বিজয় মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস। এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে আল্লাহর সাহায্য অবশ্যম্ভাবী।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ব্যারিস্টার মো. কামাল উদ্দিন

১৭ রমজান: ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের ঐতিহাসিক বিজয়

আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে (২ হিজরি) এই দিনে মদিনার নবগঠিত মুসলিম বাহিনী ও মক্কার কুরাইশ বাহিনীর মধ্যে বদরের প্রান্তরে এক মহারণ সংঘটিত হয়, যা ‘বদর যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।

মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), আর কুরাইশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহলসহ অন্যান্য প্রধান নেতারা। প্রায় ৩১৩ জন মুসলিম যোদ্ধার মুখোমুখি হয়েছিল প্রায় ১০০০ সৈন্যবিশিষ্ট সুসজ্জিত কুরাইশ বাহিনী।

যুদ্ধ শুরুর আগে মহানবী (সা.) আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন এবং তাঁর সাহসী সাহাবিরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে তারা ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন। যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলিম বাহিনীর ঈমানি শক্তি, নবীর কৌশল এবং আল্লাহর সাহায্যের ফলে কুরাইশরা পরাজিত হয়। মুসলিমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে, যেখানে কুরাইশ বাহিনীর প্রধান নেতাদের অনেকেই নিহত হয় এবং অনেককে বন্দি করা হয়।

বদরের যুদ্ধ ইসলামের অগ্রযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এটি মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং ইসলাম প্রচারে নবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে। এই বিজয় প্রমাণ করে যে ঈমান ও ন্যায়নীতির ওপর অবিচল থাকলে, সামান্য শক্তি নিয়েও বড় শত্রুকে পরাজিত করা সম্ভব।

আজও ১৭ রমজান বদরের যুদ্ধের বিজয় মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস। এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে আল্লাহর সাহায্য অবশ্যম্ভাবী।

Facebook Comments Box