ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন এর ঢাকা দক্ষিণ জোনের সভাপতি কবি নজরুল কলেজের মাসুদ

কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি: স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন ‘বাঁধন’-এর ঢাকা সিটি জোনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি হস্তান্তর-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০১ মার্চ) ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাঁধন ইউনিটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।

ঢাকা সিটি জোনকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে কার্যকারী কমিটি ২০২৫ ঘোষণা করা হয়। এতে বাঁধন ঢাকা দক্ষিণ জোনের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোস্তফা হাসান মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী খালেদ বিন ওয়ালিদ। আর ঢাকা উত্তর জোনের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. শিহাব সারার ও সাধারণ সম্পাদক সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী সায়ফিন আহমেদ ফিরোজ। এছাড়াও কবি নজরুল সরকারি কলেজের মো: সাইফুল আছরার মনোনীত হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ জোনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ও মো: আলী দোহা মনোনীত হয়েছেন নির্বাহী সদস্য পদে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, বাঁধনের একটি পজিটিভ দিক হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়মিত দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর হয়ে আসছে। আর একটি নেগেটিভ দিক হচ্ছে আর্থিক সংকট। এদের আর্থিক সংস্থা খুবই দুর্বল। তবে আমাদের নজরে যখন আসে আমরা সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আশা করি ভবিষ্যতে তাদের এ সমস্যায় আমরা সবাই এগিয়ে আসবো। আমার প্রত্যাশা থাকবে এ মানবতার সেবায় আমরা সকলেই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াবো।

বাঁধন ঢাকা দক্ষিণ জোনের সভাপতি মনোনীত হয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে মো. মোস্তফা হাসান মাসুদ বলেন আমি ২০২০ সাল থেকে কবি নজরুল সরকারি কলেজে বাঁধন নিয়ে কাজ শুরু করি। কোভিড ১৯ এর কারণে দেরি করে ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে আত্নপ্রকাশ করা হয়। তখন সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। বাঁধন কবি নজরুল সরকারি এর ২০২৩ সালে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি দায়িত্ব পালন করি।

তিনি আরো বলেন, বাঁধন হল আমার দ্বিতীয় পরিবার। বাঁধন কে সব সময় আত্মায় ধারণ করি, বাঁধন এর মাধ্যমে সমাজে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সুযোগ থাকে। একজন মানুষ তখনই উপলব্ধি করে যে রক্তের গুরুত্ব কতটুকু, যখন তার তার আত্মীয় স্বজনের রক্তের প্রয়োজন হয়।মানুষের রক্ত ম্যানেজ করে দিতে পারলে মনের ভিতর একটু শান্তি কাজ করে। ইনশাআল্লাহ সব সময় এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ব্যারিস্টার মো. কামাল উদ্দিন

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন এর ঢাকা দক্ষিণ জোনের সভাপতি কবি নজরুল কলেজের মাসুদ

আপডেট সময় : ১২:১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি: স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন ‘বাঁধন’-এর ঢাকা সিটি জোনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি হস্তান্তর-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০১ মার্চ) ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাঁধন ইউনিটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।

ঢাকা সিটি জোনকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে কার্যকারী কমিটি ২০২৫ ঘোষণা করা হয়। এতে বাঁধন ঢাকা দক্ষিণ জোনের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোস্তফা হাসান মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী খালেদ বিন ওয়ালিদ। আর ঢাকা উত্তর জোনের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. শিহাব সারার ও সাধারণ সম্পাদক সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী সায়ফিন আহমেদ ফিরোজ। এছাড়াও কবি নজরুল সরকারি কলেজের মো: সাইফুল আছরার মনোনীত হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ জোনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ও মো: আলী দোহা মনোনীত হয়েছেন নির্বাহী সদস্য পদে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, বাঁধনের একটি পজিটিভ দিক হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়মিত দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর হয়ে আসছে। আর একটি নেগেটিভ দিক হচ্ছে আর্থিক সংকট। এদের আর্থিক সংস্থা খুবই দুর্বল। তবে আমাদের নজরে যখন আসে আমরা সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আশা করি ভবিষ্যতে তাদের এ সমস্যায় আমরা সবাই এগিয়ে আসবো। আমার প্রত্যাশা থাকবে এ মানবতার সেবায় আমরা সকলেই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াবো।

বাঁধন ঢাকা দক্ষিণ জোনের সভাপতি মনোনীত হয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে মো. মোস্তফা হাসান মাসুদ বলেন আমি ২০২০ সাল থেকে কবি নজরুল সরকারি কলেজে বাঁধন নিয়ে কাজ শুরু করি। কোভিড ১৯ এর কারণে দেরি করে ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে আত্নপ্রকাশ করা হয়। তখন সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। বাঁধন কবি নজরুল সরকারি এর ২০২৩ সালে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি দায়িত্ব পালন করি।

তিনি আরো বলেন, বাঁধন হল আমার দ্বিতীয় পরিবার। বাঁধন কে সব সময় আত্মায় ধারণ করি, বাঁধন এর মাধ্যমে সমাজে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সুযোগ থাকে। একজন মানুষ তখনই উপলব্ধি করে যে রক্তের গুরুত্ব কতটুকু, যখন তার তার আত্মীয় স্বজনের রক্তের প্রয়োজন হয়।মানুষের রক্ত ম্যানেজ করে দিতে পারলে মনের ভিতর একটু শান্তি কাজ করে। ইনশাআল্লাহ সব সময় এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

Facebook Comments Box