ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

শাহরাস্তিতে গ্যাস সংকটে দিনে জ্বলছে না চুলা, রান্না করা লাগে মধ্যরাতে

দেশজুড়ে চলছে চরম গ্যাস সংকট, এরই ধারাবাহিকতায় শাহরাস্তিতেও দিনের বেলায় গ্যাস সংকট চরম পর্যায়। বাসাবাড়ি, সিএনজি স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, শিল্প-কলকারখানা ও খাবারের হোটেল সর্বত্র একই দশা। যেখানে গ্যাস সংযোগ আছে সেখানে  সকাল ৭টার পর থেকে দিনভর জ্বলে না চুলা। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই অনেক এলাকায় মধ্যরাতে হচ্ছে রান্নার কাজ। এতে গৃহবধূদের ভোগান্তির শেষ নেই।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। মোটামুটি ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলেও গ্যাসের বড় ধরনের সংকট হয় না। কিন্তু এ পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায় না।
গ্যাস সঙ্কটের কারণে আবাসিকের রান্নাবান্নার কাজে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাস সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। বাসাবাড়িগুলোতে গ্যাসের চুলা জ্বলে না। দিনের বেলায় গ্যাস থাকবে না—শঙ্কায় মধ্য রাতে রান্না করে রাখছেন গৃহবধূরা। সেই খাবার দিনের বেলায় গরম করে খাওয়ার উপায়ও থাকে না। এতে তাদের প্রাত্যাহিক জীবনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।
ঠাকুরবাজারে বসবাসকারী গৃহবধু রিনা বেগম জানান, দিনের বেলায় মোটেও গ্যাস থাকে না। চুলায় আগুন জ্বলে রাত ১১ টার পর। তখন ঘুমাবো নাকি রান্না করবো, বুঝে আসে না! সংসারের সকল কাজ করে আবার রাত জেগে পরিবারের জন্য রান্না করে রাখতে হচ্ছে। অথচ মাস শেষে আমরা ঠিকই বিল পরিশোধ করছি ঠিকমতো। কার কাছে দিবো বিচার!
কালীবাড়ি নিবাসী ফয়েজ মিয়া জানান, প্রতিদিন রাতে বাড়ির মহিলারা রান্না করছে। দিনে মোটেও গ্যাস থাকে না। আমরা বিল ঠিক মতো পরিশোধ করার পরেও এমন নাজেহার হচ্ছি! কে করবে এর প্রতিকার? কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি এর প্রতিকার চাই।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রশিদপুর একতা বন্ধনের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা

শাহরাস্তিতে গ্যাস সংকটে দিনে জ্বলছে না চুলা, রান্না করা লাগে মধ্যরাতে

আপডেট সময় : ০৫:২৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
দেশজুড়ে চলছে চরম গ্যাস সংকট, এরই ধারাবাহিকতায় শাহরাস্তিতেও দিনের বেলায় গ্যাস সংকট চরম পর্যায়। বাসাবাড়ি, সিএনজি স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, শিল্প-কলকারখানা ও খাবারের হোটেল সর্বত্র একই দশা। যেখানে গ্যাস সংযোগ আছে সেখানে  সকাল ৭টার পর থেকে দিনভর জ্বলে না চুলা। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই অনেক এলাকায় মধ্যরাতে হচ্ছে রান্নার কাজ। এতে গৃহবধূদের ভোগান্তির শেষ নেই।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। মোটামুটি ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলেও গ্যাসের বড় ধরনের সংকট হয় না। কিন্তু এ পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায় না।
গ্যাস সঙ্কটের কারণে আবাসিকের রান্নাবান্নার কাজে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাস সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। বাসাবাড়িগুলোতে গ্যাসের চুলা জ্বলে না। দিনের বেলায় গ্যাস থাকবে না—শঙ্কায় মধ্য রাতে রান্না করে রাখছেন গৃহবধূরা। সেই খাবার দিনের বেলায় গরম করে খাওয়ার উপায়ও থাকে না। এতে তাদের প্রাত্যাহিক জীবনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।
ঠাকুরবাজারে বসবাসকারী গৃহবধু রিনা বেগম জানান, দিনের বেলায় মোটেও গ্যাস থাকে না। চুলায় আগুন জ্বলে রাত ১১ টার পর। তখন ঘুমাবো নাকি রান্না করবো, বুঝে আসে না! সংসারের সকল কাজ করে আবার রাত জেগে পরিবারের জন্য রান্না করে রাখতে হচ্ছে। অথচ মাস শেষে আমরা ঠিকই বিল পরিশোধ করছি ঠিকমতো। কার কাছে দিবো বিচার!
কালীবাড়ি নিবাসী ফয়েজ মিয়া জানান, প্রতিদিন রাতে বাড়ির মহিলারা রান্না করছে। দিনে মোটেও গ্যাস থাকে না। আমরা বিল ঠিক মতো পরিশোধ করার পরেও এমন নাজেহার হচ্ছি! কে করবে এর প্রতিকার? কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি এর প্রতিকার চাই।
Facebook Comments Box