চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তিনটি পৃথক স্থানে সংঘটিত হয়েছে চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা। স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়া এসব ঘটনার পর পুলিশ ৩ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে এবং তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রথম ঘটনা ঘটে ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) দুপুরে উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরশাক উত্তরপাড়া এলাকায়। সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের বাড়িতে তালা ভেঙে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তার স্ত্রী চামেলী বেগম জানান, দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় ফিরে এসে দেখতে পান ঘরের তালা ও সুকেইচ ভাঙা, ঘরের জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এ সময় ঘর থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করা হয়।
দ্বিতীয় চুরির ঘটনা ঘটে ৬ এপ্রিল সকালে, উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামে। ভুক্তভোগী হাসিনা আক্তার জানান, তারা ৪ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী গ্রামে বেড়াতে গেলে চোরেরা ওই ফাঁকে বসতঘরে ঢুকে পড়ে। ৬ তারিখ সকালে ফিরে এসে তারা দেখতে পান ঘরের দরজা ও আলমারি ভাঙা এবং ঘরের সমস্ত মালামাল লুট করা হয়েছে। লুট হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি মূল্যবান ল্যাপটপ ও প্রসাধনীসহ প্রায় দুই লাখ টাকার সম্পদ।
এছাড়া ১ এপ্রিল রাতে টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটসংলগ্ন একাধিক দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। একটি কনফেকশনারি দোকান, একটি স্টেশনারি ও মুদি দোকান থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান পণ্যসামগ্রী চুরি হয়। দোকান মালিকরা জানান, ঈদের পরদিনই এ ঘটনা ঘটে।
চুরির ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শোরশাক এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করেছে। তারা হলেন—মো. জাকির হোসেন (২০), মো. রকি (২০) ও পিয়াস হাসান (২২)। আটকৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, “আমরা ঘটনাগুলো গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের শনাক্ত ও ধরতে অভিযান চলছে।”