চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। প্রশাসনের একের পর এক অভিযানের পরেও থামছে না এসব বেআইনি কার্যকলাপ। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি কাটার অভিযোগ আসছে, আর এসব কাজ রাতের আঁধারে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।
সম্প্রতি শাহরাস্তির বিভিন্ন ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানে একাধিক ভেকু ও মাটি পরিবহনকারী যানবাহন আটক এবং জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়মের তোয়াক্কা না করে জমির উর্বরতা নষ্ট করে দিচ্ছে। এতে কৃষিকাজে সমস্যা হচ্ছে, পরিবেশের ওপর পড়ছে মারাত্মক প্রভাব এবং গ্রামীণ সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে শাহরাস্তি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার জানান, “আমরা প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছি। কেউ ছাড় পাবে না। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসনের অভিযান সত্ত্বেও ভোর রাতে কিংবা গভীর রাতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক ও ডাম্পারযোগে তা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত।
জনসচেতনতার অভাব এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর লোভের কারণে এই অবৈধ মাটি কাটার প্রবণতা রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন হতে হবে, এবং কেউ এসব কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কৃষিজমি বা সরকার অনুমোদিত জায়গা ব্যতীত অন্য কোথাও মাটি কাটলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের দায়ে অর্থদণ্ড ছাড়াও জেল পর্যন্ত হতে পারে। প্রশাসন সকলকে সতর্ক করে বলেছে, কেউ এই অপরাধে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।