
সারা দেশের মতো চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলাতেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতির বিভিন্ন জটিলতার কারণে কেউ দুই মাস, কেউ তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ফলে পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে, আর আসন্ন ঈদ তাদের জন্য আরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাহরাস্তির একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “গত তিন মাস ধরে বেতন পাইনি। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। ঈদের আগে বেতন না পেলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।” একই উপজেলার একটি কলেজের প্রভাষক সুমনা আক্তার জানান, “ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের তথ্যগত কিছু ত্রুটির কারণে তা আটকে আছে। সংশোধনের জন্য আবেদন করলেও এখনো কোনো সমাধান হয়নি।”
জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ অন্যান্য তথ্যের সামান্য ভুলের কারণে ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন প্রদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব তথ্য সংশোধন করতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা ও জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষকরা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, সরকারি শিক্ষকরা সময়মতো বেতন পেলেও তারা মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঈদের আগে মাত্র একটি কর্মদিবস (২৭ মার্চ) ব্যাংক খোলা থাকবে। এর মধ্যেও যদি বেতন পরিশোধ না করা হয়, তবে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে।
এ অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্রুত বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে তারা পরিবারসহ স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেন।