ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির অনুমোদন “শাহরাস্তিতে ইসলামী আন্দোলনের মজলিসে শূরার অধিবেশন ২০২৫ সম্পন্ন: নতুন নেতৃত্বে যাত্রা শুরু” ‘তারেক রহমান আসছে’—এই বার্তাই কি বদলে দেবে বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ? কচুয়ায় দুই ভাইয়ের বর্বর হামলায় গুরুতর আহত বড় ভাই ও ভাবি চাঁদপুর-৫ আসনে এলডিপির হেভিওয়েট প্রার্থী ড. নেয়ামুল বশির, পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের নতুন আশার আলো শাহরাস্তিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক: সাহস, সততা আর সেবার অন্যরকম নাম শাহরাস্তিতে প্রণোদনা কর্মসূচিতে ১৩০০ কৃষক পেলেন বিনামূল্যে বীজ ও সার “আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত, মাতৃভূমিতে প্রত্যাশার প্রতীক: চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপি’র আলোচিত নাম আনোয়ার হোসেন খোকন” শাহরাস্তি উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্ষবরণ উৎসবের ২য় দিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

১৭ রমজান: ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের ঐতিহাসিক বিজয়

ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে (২ হিজরি) এই দিনে মদিনার নবগঠিত মুসলিম বাহিনী ও মক্কার কুরাইশ বাহিনীর মধ্যে বদরের প্রান্তরে এক মহারণ সংঘটিত হয়, যা ‘বদর যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।

মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), আর কুরাইশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহলসহ অন্যান্য প্রধান নেতারা। প্রায় ৩১৩ জন মুসলিম যোদ্ধার মুখোমুখি হয়েছিল প্রায় ১০০০ সৈন্যবিশিষ্ট সুসজ্জিত কুরাইশ বাহিনী।

যুদ্ধ শুরুর আগে মহানবী (সা.) আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন এবং তাঁর সাহসী সাহাবিরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে তারা ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন। যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলিম বাহিনীর ঈমানি শক্তি, নবীর কৌশল এবং আল্লাহর সাহায্যের ফলে কুরাইশরা পরাজিত হয়। মুসলিমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে, যেখানে কুরাইশ বাহিনীর প্রধান নেতাদের অনেকেই নিহত হয় এবং অনেককে বন্দি করা হয়।

বদরের যুদ্ধ ইসলামের অগ্রযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এটি মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং ইসলাম প্রচারে নবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে। এই বিজয় প্রমাণ করে যে ঈমান ও ন্যায়নীতির ওপর অবিচল থাকলে, সামান্য শক্তি নিয়েও বড় শত্রুকে পরাজিত করা সম্ভব।

আজও ১৭ রমজান বদরের যুদ্ধের বিজয় মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস। এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে আল্লাহর সাহায্য অবশ্যম্ভাবী।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির অনুমোদন

১৭ রমজান: ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের ঐতিহাসিক বিজয়

Update Time : ০৫:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে (২ হিজরি) এই দিনে মদিনার নবগঠিত মুসলিম বাহিনী ও মক্কার কুরাইশ বাহিনীর মধ্যে বদরের প্রান্তরে এক মহারণ সংঘটিত হয়, যা ‘বদর যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।

মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), আর কুরাইশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহলসহ অন্যান্য প্রধান নেতারা। প্রায় ৩১৩ জন মুসলিম যোদ্ধার মুখোমুখি হয়েছিল প্রায় ১০০০ সৈন্যবিশিষ্ট সুসজ্জিত কুরাইশ বাহিনী।

যুদ্ধ শুরুর আগে মহানবী (সা.) আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন এবং তাঁর সাহসী সাহাবিরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে তারা ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন। যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলিম বাহিনীর ঈমানি শক্তি, নবীর কৌশল এবং আল্লাহর সাহায্যের ফলে কুরাইশরা পরাজিত হয়। মুসলিমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে, যেখানে কুরাইশ বাহিনীর প্রধান নেতাদের অনেকেই নিহত হয় এবং অনেককে বন্দি করা হয়।

বদরের যুদ্ধ ইসলামের অগ্রযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এটি মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং ইসলাম প্রচারে নবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে। এই বিজয় প্রমাণ করে যে ঈমান ও ন্যায়নীতির ওপর অবিচল থাকলে, সামান্য শক্তি নিয়েও বড় শত্রুকে পরাজিত করা সম্ভব।

আজও ১৭ রমজান বদরের যুদ্ধের বিজয় মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস। এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে আল্লাহর সাহায্য অবশ্যম্ভাবী।

Facebook Comments Box