ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির অনুমোদন “শাহরাস্তিতে ইসলামী আন্দোলনের মজলিসে শূরার অধিবেশন ২০২৫ সম্পন্ন: নতুন নেতৃত্বে যাত্রা শুরু” ‘তারেক রহমান আসছে’—এই বার্তাই কি বদলে দেবে বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ? কচুয়ায় দুই ভাইয়ের বর্বর হামলায় গুরুতর আহত বড় ভাই ও ভাবি চাঁদপুর-৫ আসনে এলডিপির হেভিওয়েট প্রার্থী ড. নেয়ামুল বশির, পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের নতুন আশার আলো শাহরাস্তিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক: সাহস, সততা আর সেবার অন্যরকম নাম শাহরাস্তিতে প্রণোদনা কর্মসূচিতে ১৩০০ কৃষক পেলেন বিনামূল্যে বীজ ও সার “আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত, মাতৃভূমিতে প্রত্যাশার প্রতীক: চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপি’র আলোচিত নাম আনোয়ার হোসেন খোকন” শাহরাস্তি উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্ষবরণ উৎসবের ২য় দিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

পরকীয়ার জেরে খুন, মা-মেয়ে আটক: শাহরাস্তির হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উন্মোচিত

একদিকে প্রেম, অন্যদিকে ১৬ লাখ টাকার লেনদেন। মাঝখানে ১২০ টাকায় কেনা একটি ছুরি। সব মিলিয়ে শাহরাস্তির মনিপুর গ্রামে ঘটে গেলো এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। দিনমজুর আলমগীর হোসেন (৩৫) বিশ্বাস করে গিয়েছিলেন ভালোবাসার বন্ধনকে, কিন্তু সেই সম্পর্কই এক রাতে কেড়ে নিলো তার জীবন।

পুলিশের ভাষ্য, এ ঘটনা নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়—এটি প্রতারণা, প্রতিশোধ ও লেনদেনের জটিল এক গল্প। আর সেই গল্পের কেন্দ্রে আছেন মাহমুদা আক্তার সোনিয়া (৩০) ও তার মা খোদেজা বেগম প্রকাশ পান্না (৫০)।

স্থানীয়দের মতে, আলমগীর হোসেনের সঙ্গে সোনিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বেশ কিছুদিন আগে। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেনও ছিল। নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগমের দাবি, সোনিয়ার কাছে আলমগীরের ১৬ লাখ টাকা পাওনা ছিল। টাকা ফেরত চাইতেই সোনিয়া তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন, আর সেটাই হয়ে ওঠে তার মৃত্যুর ফাঁদ।

অন্যদিকে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া স্বীকার করেছেন যে, আলমগীর তাকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করছিল। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।

চিতোষী বাজার থেকে মাত্র ১২০ টাকায় কেনা একটি ছুরি। কিন্তু সেই সামান্য দামের ছুরি দিয়েই ঘটানো হলো এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। আলমগীরকে ডেকে নেওয়া হয় বাড়ির ছাদে, আর সেখানেই একাধিক আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর আসামিরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত উন্মোচিত হয় আসল ঘটনা। হত্যার অস্ত্র ও ঘটনাস্থলে পাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়।

পুলিশের ধারণা, হত্যার নেপথ্যে আরও কেউ থাকতে পারে। তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে সম্ভাব্য সহযোগীদের শনাক্ত করার জন্য।

এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে শাহরাস্তি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে— মাহমুদা আক্তার সোনিয়া (৩০): পিতা—আবুল হোসেন মানিক, মাতা—খোদেজা বেগম প্রকাশ পান্না, স্বামী—তুষার। খোদেজা বেগম প্রকাশ পান্না (৫০): স্বামী—আবুল হোসেন মানিক। দুজনই চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মনিপুর (সোলেমান মাস্টার বাড়ি/নতুন বাড়ি) এলাকার বাসিন্দা। আসামিদের চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ড কি শুধুই প্রেমের দ্বন্দ্ব? নাকি ১৬ লাখ টাকার লেনদেনই মূল কারণ? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র? শাহরাস্তির এই রহস্যময় হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে। সামনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির অনুমোদন

পরকীয়ার জেরে খুন, মা-মেয়ে আটক: শাহরাস্তির হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উন্মোচিত

Update Time : ০৩:২৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

একদিকে প্রেম, অন্যদিকে ১৬ লাখ টাকার লেনদেন। মাঝখানে ১২০ টাকায় কেনা একটি ছুরি। সব মিলিয়ে শাহরাস্তির মনিপুর গ্রামে ঘটে গেলো এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। দিনমজুর আলমগীর হোসেন (৩৫) বিশ্বাস করে গিয়েছিলেন ভালোবাসার বন্ধনকে, কিন্তু সেই সম্পর্কই এক রাতে কেড়ে নিলো তার জীবন।

পুলিশের ভাষ্য, এ ঘটনা নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়—এটি প্রতারণা, প্রতিশোধ ও লেনদেনের জটিল এক গল্প। আর সেই গল্পের কেন্দ্রে আছেন মাহমুদা আক্তার সোনিয়া (৩০) ও তার মা খোদেজা বেগম প্রকাশ পান্না (৫০)।

স্থানীয়দের মতে, আলমগীর হোসেনের সঙ্গে সোনিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বেশ কিছুদিন আগে। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেনও ছিল। নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগমের দাবি, সোনিয়ার কাছে আলমগীরের ১৬ লাখ টাকা পাওনা ছিল। টাকা ফেরত চাইতেই সোনিয়া তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন, আর সেটাই হয়ে ওঠে তার মৃত্যুর ফাঁদ।

অন্যদিকে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া স্বীকার করেছেন যে, আলমগীর তাকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করছিল। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।

চিতোষী বাজার থেকে মাত্র ১২০ টাকায় কেনা একটি ছুরি। কিন্তু সেই সামান্য দামের ছুরি দিয়েই ঘটানো হলো এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। আলমগীরকে ডেকে নেওয়া হয় বাড়ির ছাদে, আর সেখানেই একাধিক আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর আসামিরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত উন্মোচিত হয় আসল ঘটনা। হত্যার অস্ত্র ও ঘটনাস্থলে পাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়।

পুলিশের ধারণা, হত্যার নেপথ্যে আরও কেউ থাকতে পারে। তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে সম্ভাব্য সহযোগীদের শনাক্ত করার জন্য।

এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে শাহরাস্তি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে— মাহমুদা আক্তার সোনিয়া (৩০): পিতা—আবুল হোসেন মানিক, মাতা—খোদেজা বেগম প্রকাশ পান্না, স্বামী—তুষার। খোদেজা বেগম প্রকাশ পান্না (৫০): স্বামী—আবুল হোসেন মানিক। দুজনই চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মনিপুর (সোলেমান মাস্টার বাড়ি/নতুন বাড়ি) এলাকার বাসিন্দা। আসামিদের চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ড কি শুধুই প্রেমের দ্বন্দ্ব? নাকি ১৬ লাখ টাকার লেনদেনই মূল কারণ? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র? শাহরাস্তির এই রহস্যময় হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে। সামনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

Facebook Comments Box