জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দারিদ্রমুক্ত ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে
-মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী
মোঃ শাহ আলম ভূঁইয়াঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাহরাস্তি পৌরসভার পেশাজীবী শাখা কর্তৃক আয়োজিত সুধী ও পেশাজীবীদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিল শাহরাস্তি মডেল স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আলমগীর হোসেন ও পেশাজীবী দায়িত্বশীল মোঃ আজিজুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মজলিসে শূরা সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হোসাইন।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী।
আশরাফী বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের হেদায়েতের জন্য পবিত্র কালামে হাকিম পাঠিয়েছেন। আমরা পেয়েছি একটি পরিপূর্ণ, শাশ্বত ও নির্ভুল জীবন বিধান। আমরা যাতে নির্মূল জীবন বিধান অনুসরণ করে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তিলাভ করতে পারি, সে জন্যই যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করা হয়েছে। আর আল্লাহর বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করলে দুনিয়াতে থেকে সকল জুলুমাতের অবসান ঘটে এবং নূর তথা আলোকিত রাস্তা প্রস্তুত হয়। তাই আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান সকলকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। কেউ আংশিক অনুসরণ করলে তাকে দুনিয়াতে লাঞ্ছিত হতে হবে এবং আখেরাতে অপমানকরভাবে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে। তিনি দ্বীনের পরিপূর্ণ বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, মানুষের তৈরি জীবনবিধানের পরিবর্তে ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যারা আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে না তাদেরকে কালামে পাকে স্থানভেদে কাফির, ফাসিক ও জালিম হিসাবে উল্লেখ করে ভয়াবহ পরিণতির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের দেশে নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাতের চর্চা সীমিত পরিসরে থাকলে এবং এতে কেউ বাধা প্রদান না করলেও দেশে সুদভিত্তিক অর্থনীতি চালু রয়েছে। কিন্তু এ সুদভিত্তিক অর্থনীতির পরিবর্তে যাকাতভিত্তিক ইনসাফপূর্ণ অর্থনীতি দেশে চালু করতে হলে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্র ক্ষমতা। ক্ষমতা ছাড়া রাষ্ট্রের কোন মৌলিক বিধান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
প্রধান অতিথি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী, আদর্শবাদী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। জনগণ জামায়াতকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পাঠালে দ্বীনি আদর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে রাষ্ট্রে মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য থাকবে না; থাকবে না কোন ক্ষেত্রেই বে-ইনসাফি, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্রই। জামায়াত পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে দেশকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করে সবার জন্য ইনসাফ ও সুবিচার নিশ্চিত করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবার আগে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ক্ষেত্র বিশেষে অফেরৎযোগ্য অনুদান, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কর্জে হাসানা প্রদান করা হবে। আর দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক আত্মনির্ভরশীল হলেও দেশও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। তিনি দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমীর বাদশা ফয়সাল,উপজেলা মিডিয়া ফোরাম সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া।
এছাড়াও পৌর বিভিন্ন বিভাগীয় দায়িত্বশীল হাফেজ মনির হোসাইন,হাফেজ শাহজালাল, মাওলানা মাইনউদ্দিন মিয়াজী, মাওলানা আবু তাহের, জিহাদুল ইসলাম শামীম,জহিরুল ইসলাম,তারেকুল ইসলাম,আমিনুল ইসলাম,আবু হানিফ প্রমুখ।