ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির অনুমোদন “শাহরাস্তিতে ইসলামী আন্দোলনের মজলিসে শূরার অধিবেশন ২০২৫ সম্পন্ন: নতুন নেতৃত্বে যাত্রা শুরু” ‘তারেক রহমান আসছে’—এই বার্তাই কি বদলে দেবে বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ? কচুয়ায় দুই ভাইয়ের বর্বর হামলায় গুরুতর আহত বড় ভাই ও ভাবি চাঁদপুর-৫ আসনে এলডিপির হেভিওয়েট প্রার্থী ড. নেয়ামুল বশির, পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের নতুন আশার আলো শাহরাস্তিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক: সাহস, সততা আর সেবার অন্যরকম নাম শাহরাস্তিতে প্রণোদনা কর্মসূচিতে ১৩০০ কৃষক পেলেন বিনামূল্যে বীজ ও সার “আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত, মাতৃভূমিতে প্রত্যাশার প্রতীক: চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপি’র আলোচিত নাম আনোয়ার হোসেন খোকন” শাহরাস্তি উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্ষবরণ উৎসবের ২য় দিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

চার দশকের ইমামতি শেষে বিদায়, মাওলানা রুহুল আমিনের প্রতি এলাকাবাসীর অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা

এক নিঃসন্দেহে আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হলো কাজিরকাপ বড় মসজিদ ও আশপাশের এলাকা। দীর্ঘ ৪০ বছর সম্মানের সঙ্গে খতিবের দায়িত্ব পালন শেষে মাওলানা রুহুল আমিন বিদায় নিলেন।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে আয়োজিত এক বিদায় সংবর্ধনায় এলাকার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এই বরেণ্য আলেম। চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের কাজিরকাপে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আবেগাপ্লুত হয়ে বিদায় জানালেন তাদের প্রিয় খতিবকে, যিনি চার দশক ধরে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন, নামাজে ইমামতি করেছেন এবং ইসলামি মূল্যবোধ প্রচারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

অনুষ্ঠানটিতে হাফেজ মোঃ সোহরাব হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি সোহরাব হোসেন (মিহির)। এছাড়াও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু তাহের এবং কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “মাওলানা রুহুল আমিন শুধু মসজিদের খতিব ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের আত্মার নেতা, আমাদের ধর্মীয় শিক্ষাগুরু।” দীর্ঘ এই সময়কালে তিনি সমাজে ন্যায়পরায়ণতা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন।

স্থানীয় এক মুসল্লি আবেগের সাথে বলেন, “আমরা হয়তো নতুন খতিব পাবো, কিন্তু মাওলানা রুহুল আমিনের শূন্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না।”

এই বিদায় সংবর্ধনা শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, ছিল ভালোবাসা ও সম্মানের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ। বিদায়ের সময় অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তবে সবাই একসঙ্গে দোয়া করেছেন—যেন আল্লাহ তাঁকে সুস্থ রাখেন, দীর্ঘায়ু দান করেন এবং তাঁর অবদানকে কবুল করেন।

এলাকাবাসীর আয়োজিত এই সংবর্ধনা প্রমাণ করে, যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তারা চিরকাল মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকেন।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির অনুমোদন

চার দশকের ইমামতি শেষে বিদায়, মাওলানা রুহুল আমিনের প্রতি এলাকাবাসীর অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা

Update Time : ১১:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

এক নিঃসন্দেহে আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হলো কাজিরকাপ বড় মসজিদ ও আশপাশের এলাকা। দীর্ঘ ৪০ বছর সম্মানের সঙ্গে খতিবের দায়িত্ব পালন শেষে মাওলানা রুহুল আমিন বিদায় নিলেন।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে আয়োজিত এক বিদায় সংবর্ধনায় এলাকার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এই বরেণ্য আলেম। চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের কাজিরকাপে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আবেগাপ্লুত হয়ে বিদায় জানালেন তাদের প্রিয় খতিবকে, যিনি চার দশক ধরে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন, নামাজে ইমামতি করেছেন এবং ইসলামি মূল্যবোধ প্রচারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

অনুষ্ঠানটিতে হাফেজ মোঃ সোহরাব হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি সোহরাব হোসেন (মিহির)। এছাড়াও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু তাহের এবং কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “মাওলানা রুহুল আমিন শুধু মসজিদের খতিব ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের আত্মার নেতা, আমাদের ধর্মীয় শিক্ষাগুরু।” দীর্ঘ এই সময়কালে তিনি সমাজে ন্যায়পরায়ণতা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন।

স্থানীয় এক মুসল্লি আবেগের সাথে বলেন, “আমরা হয়তো নতুন খতিব পাবো, কিন্তু মাওলানা রুহুল আমিনের শূন্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না।”

এই বিদায় সংবর্ধনা শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, ছিল ভালোবাসা ও সম্মানের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ। বিদায়ের সময় অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তবে সবাই একসঙ্গে দোয়া করেছেন—যেন আল্লাহ তাঁকে সুস্থ রাখেন, দীর্ঘায়ু দান করেন এবং তাঁর অবদানকে কবুল করেন।

এলাকাবাসীর আয়োজিত এই সংবর্ধনা প্রমাণ করে, যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তারা চিরকাল মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকেন।

Facebook Comments Box