ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
এ যেন মগের মুল্লুক! কোনো ভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না দানব ট্রাকের চলাচল। কৃষি জমির মাটি কেটে ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে ফেলতেও কোনো দ্বিধা করছেন না। অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করেই চলছে অসাধু মাটিখেকো ব্যবসায়ী।
আব্দুর রাজ্জাক নামে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার।
গত বছর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্বরত ভূমি অফিসার আজিমুন নাহার তার এমন কর্মকান্ডের প্রমান পেয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। তবুও কোনো কর্ণপাত করছেন না তিনি। নিজের শক্তি প্রদর্শন করে চলছে তার দানব ট্রাক। ইছাপুরা এবং সাহাপুর গ্রামের বহু কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট করেও তিনি যেন অপ্রতিরোধ্য। তবে কি আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার নামের এই ব্যাক্তিকে আটকানোর কেউ নেই? তিনি কি প্রশাসন কে ও থোঁড়াই কেয়ার করে পার পেয়ে যাবেন?
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে এই ব্যাক্তি স্থানীয় কিছু কৃষককে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন। গ্রামের সহজ সরল কৃষকরা ফসল উৎপাদনের কথা চিন্তা না করে অনেকে মাটি বিক্রি করছেন। কিন্তু মাটি একজনের জমি থেকে বিক্রি করা হলেও সেই মাটি ট্রাক দিয়ে পরিবহন করার জন্য অন্য অনেক কৃষকের জমি ব্যবহার করতে হয়। ফলে কৃষি জমির মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আব্দুর রাজ্জাক নামের এই ব্যাক্তির অনিয়মের হাত থেকে রক্ষা পায়নি দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকার ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি রুহুল আমিন খান স্বপনের জমিও। রুহুল আমিন খান স্বপনের জমির ওপর দিয়ে দানব ট্রাক চলাচল করায় তার জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে বহু দিন ধরে। এ ব্যাপারে রুহুল আমিন খান স্বপন আপত্তি জানালে তার সাথেও ঝামেলায় জড়ান এই ব্যাক্তি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক জসিম উদ্দীন শেখ জানান, মাটি কাটার ফলে ফসলি জমিগুলো উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি অন্য জমির উপর দিয়ে স্ক্যাভেটর ও ট্রাক চলাচল করছে। মাটি বহনকারী গাড়ি থেকে সড়কে মাটি পড়ে গ্রামাঞ্চলের শাখা সড়কসহ উপজেলার প্রধান সড়কগুলো মাটির প্রলেপে ঢেকে যাচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি কিংবা কুয়াশা পড়লে সড়কে বিভিন্ন দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে।
ইছাপুরা গ্রামের তাজুল ইসলাম গাজী ও সাখাওয়াত জানান আমরা এই ব্যাক্তির কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ। আমরা তাকে বাঁধা দিলে সে রাজনৈতিক ক্ষমতার হুমকি দেয়। প্রশাসন তাকে একবার জরিমানা করার পরেও তার এমন কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার প্রতিবেশিরা জানান তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকা থেকে অনত্র অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসার এ আর এম জাহিদ হাসান কে অবগত করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পাওয়া না গেলেও তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে এই সংবাদকর্মী কে জানান।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার নামের এই দানব ট্রাক মালিকের এমন কর্মকান্ড বহুদিনের। অনেকে হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন। তার অবৈধ এমন কর্মকান্ডের হাত থেকে রেহাই চান এলাকাবাসী।