চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার খিলা খাল ভাসমান পাম্প সেচ প্রকল্প চালুর বিষয়ে কৃষক ও ম্যানেজারদের এক যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মাহবুব আলম। তার সঞ্চালনায় উক্ত সভায় অনুষ্ঠানে বর্ণিত সেচ প্রকল্পের আওতায় আবাদি জমির মালিক-কৃষক এবং সেচ প্রকল্পের ম্যানেজারগন উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ফখরুল ইসলাম বিলাস। বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তার অভিলাষ খিলা খাল সেচ প্রকল্পের কৃষি কাজ সুচারুভাবে চলুক। তাই এই সেচ প্রকল্প সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিজের তহবিল হতে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, খিলা খাল ভাসমান সেচ প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম দিদার, সমাজ সেবক মনিরুল ইসলাম (মনির), শাখা ম্যানেজার কুতুব উদ্দিন, বিজয়পুরের শাখা ম্যানেজার আবু সাইদ, উল্লাশ্বরের ম্যানেজার বাবুল, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ অঞ্চলের ম্যানেজার জোবায়ের হোসেন,বাঙ্গলাইস গ্ৰামের কৃষক আবদুল মোতালেব, রশিদপুর গ্ৰামের কৃষক কুতুব উদ্দিন, কৃষক আবদুর রহিম বাদশা ,কৃষক আবুল বাশার, বেরকী গ্ৰামের কৃষক আবদুর রহিম, কৃষক হেমায়েত উদ্দিন সুমন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শাহরাস্তি, বরুড়া, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ সহ দুই জেলার মোট ৪টি উপজেলায় এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯১ সাল থেকে ইরিগেশন শুরু করে। এই প্রকল্পের আওতায় ৩৫০০০ জন কৃষক কৃষি কাজ করে উপকৃত হচ্ছে। এই সেচ প্রকল্পের আওতায় জমির পরিমাণ প্রায় ১২০০ হেক্টর।
সেচ প্রকল্পের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গণমাধ্যমকে জানান, পূর্বের ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭০৫ টাকা বকেয়া বিল থাকায় একটি মামলা রুজু করে। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮ সালের ৩২(২) ধারা মোতাবেক সিআর মামলা নং-৫২৯১/২৪ চলমান রয়েছে। একইভাবে বিএডিসির মালামাল তসরুফের অভিযোগ এনে শাহরাস্তি থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রুজু করে বলে জানান।