ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: প্রতারণার মাধ্যমে মাটি বিক্রির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মো. হোসেন রাজা (৩৫)’র বিরুদ্ধে। তিনি সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ফনিসাইর গ্রামের নুরু মেয়া বেপারীর ছেলে। একই উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলম পাটওয়ারী (৭২) রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাদী হয়ে চাঁদপুর বিচারিক আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জজকোর্টের আইনজীবী মো. নুরুল আমিন আকাশ।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর পূর্বে ভুক্তভোগীর টাকার প্রয়োজন হলে নিজ মালিকানাধীন একটি মাছের ঘের থেকে মো. হোসেন রাজার কাছে লিখিত চুক্তিনামা সম্পাদন করে ১৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করেন। চুক্তিনামার বিভিন্ন শর্ত ভঙ্গ করে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মাটি নিলেও ভুক্তভোগীকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মো. হোসেন রাজা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাঝোতা বৈঠক হলেও অবৈধভাবে বল প্রয়োগ করে ভুক্তভোগী পরিবারকে হয়রানী করা ছাড়া কোন সমাধান হয়নি। তাই ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম পাটওয়ারী আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মো. হোসেন রাজা সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়ার সময়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ সাংবাদিক সফিকুর রহমান এমপি নির্বাচিত হলে যুবলীগের কমিটি থেকে বাদ পড়েন তিনি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যুবলীগ মো. হোসেন রাজা আওয়ামলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানী করেছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেশ কয়েকদিন আত্মগোপণে থাকলেও সুবিদাগ্রহণকারী চক্রের সাথে মিসে নানান কৌশলে মানুষের সাথে পুনরায় প্রতারণা করছেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগনেতা মো. হোসেন রাজার গ্রামে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করার পর রিসিভ করে কথা না বলে সংযোগ কেটে দেন।