শাহরাস্তিতে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম ব্যাংক) অব বাংলাদেশ পিএলসি গ্রাহক সমাবেশ -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় শাহরাস্তি পৌরশহরের ঠাকুর বাজার এক্সিম ব্যাংক শাখার আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার মোঃ আঃ কাদেরের সঞ্চালনায় ঠাকুর বাজার এক্সিম ব্যাংক শাখা’র ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ মোঃ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ মোস্তফা কামাল।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এক্সিম ব্যাংক শাহরাস্তি উপজেলার প্রথম প্রাইভেট ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিশ্বস্ততার সহিত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করে আসছে। সম্প্রতি দেশব্যাপী নানামুখী সমস্যার দরুন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খানিকটা সংকটে পড়ে। যেটির ঢেউ এই ব্যাংকটির মধ্য আছড়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক এর দৃঢ় পদক্ষেপে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ ব্যাংকটি পূর্বের ন্যায় গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আপনারা পূর্বের ন্যায় এ আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ এক্সিম ব্যাংকে সুদ মুক্ত সেবা গ্রহণ করে ঈমান এবং আমলি জিন্দেগির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তোফায়েল আহমেদ শেখ, শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম মোঃ মোবারক হোসেন, মেহের ডিগ্রি কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওহেদ উদ্দিন, ফটিকখিরা এস এ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতির সভাপতি গণমাধ্যমকর্মী মোঃ মাসুদ রানা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মহিন উদ্দিন, রাজনীতিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর আলম, চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমিতির ম্যানেজার কবির হোসেন, শাহরাস্তির মনুমিয়া এতিমখানার শিরিন সুলতানা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবলু, শাহরাস্তি মডেল স্কুলের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফিরোজ আলম, জাপান ইলেকট্রনিকস স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এক্সিম ব্যাংক ম্যানেজার আবু সাঈদ মোঃ হারুনুর রশিদ স্বাগত এবং সমাপনী বক্তব্য বলেন, এই ব্যাংকটি সৃষ্টির পর থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক হিসেবে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করে আসছে। আপনারা সে সেবার অংশীদার। এটি সম্ভব হয়েছে আপনাদের সহযোগিতা এবং আমানতের কারণে। কিছুদিন পূর্বে দেশে অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃঢ় পদক্ষেপে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপনাদের প্রিয় ব্যাংকটি ষোল আনা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আপনারা পূর্বের ন্যায় জমা ও উত্তোলন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় লোভনীয় প্রোডাক্ট চালু করেছে ব্যাংক। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। ওই সময় ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মী, গ্রাহক, বিশিষ্ট জন, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যাংকের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।