শাহরাস্তিতে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে পরিত্রাণের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
মঙ্গলবার বিকেলে পৌর শহরে ১১ নং ওয়ার্ডের সাহেব বাজার এলাকায় স্থানীয় একদল কৃষক ও গ্রামবাসীর আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা ও বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর মহল্লার পানি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার হিসেবে শামসুল হকের পুত্র মো: জহিরুল হক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী টামটা দক্ষিণ ইউপির টামটা গ্রামের দক্ষিণ ও পূর্ব মাঠের ইরিগেশন প্রকল্পের ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে মোঃ আমিন এবং মিজানুর রহমান দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এমতাবস্থায় বিগত সরকারের আমলে ওই এলাকার মৃত সহিদউল্লার পুত্র মো: সামাদ গংরা এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের মদদ দিতে শুরু করে। তার ওই মদদে সে এলাকার মজুমদার বাড়ি (ওগল বাড়ির) মৃত সানাউল্লাহ মজুমদার এর পুত্র মোহাম্মদ মামুন মজুমদার ড্রেজার ব্যবসার তান্ডব শুরু করে । এতে করে উল্লেখিত তিনটি কৃষি জমিনের মাঠের টপ সয়েল লুণ্ঠন শুরু হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রায় জমিন উঁচু-নিচু হয়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে টামটা দক্ষিণ ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির সিরাজুল ইসলাম উপজেলা প্রশাসনের নিকট মাটির টপ সোয়েল কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তৎসময় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের সময় ড্রেজার মালিককে না পেয়ে জমিনের মালিক মৃত সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র সালাউদ্দিন রাশেদকে দন্ড প্রদান করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামালের নিকট জব্দকৃত ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী জিম্মায় দিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ড্রেজার তান্ডব থামাতে গত ১৭ই অক্টোবর সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার মো: জহিরুল হক উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ১৯ শে অক্টোবর উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সে এলাকায় অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত ড্রেজার ও আনুষাঙ্গিক মালামাল হেফাজতে নেয়।
এদিকে বারবার প্রশাসনের অভিযান ও কৃষকদের দাবির মুখে ড্রেজার ব্যবসায়ী মো: মামুন মজুমদার কৌশল পরিবর্তন করে সেচ প্রকল্প ম্যানেজার ও স্থানীয় ৬ জন কৃষকে বাদী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযুক্তরা হলেন, পৌরসভার কৃষ্ণপুর গ্রামের শামসুল হকের পুত্র মোঃ জহিরুল হক (৫৩),টামটা দক্ষিনপাড়া ছৈয়াল বাড়ির মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র মোঃ আবুল খায়ের (৪৭), ও তার স্রী সখিনা আক্তার (৪৫),মৃত আব্দুর রবের পুত্র মো: বিল্লাল হোসেন (৪৮),সিরাজুল ইসলাম শিমুর পুত্র মো: রাজন(২২), সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মোঃ ইমরান হোসেন (৪৫)।
ওই সময় মানববন্ধনে সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার জহিরুল হক বলেন, আমরা জমিনের টপসয়েল ও উর্বরতা রক্ষায় আন্দোলন করে মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। উপরোক্ত বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবগত রয়েছে। আমরা ভূমি খেকোর দায়ের করা এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চাই।