
রাফিউ হাসান হামজাঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুরবাজারে অবস্থিত শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি তদন্ত করেছে।
২০১৫ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিতর্কিত।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা প্রশাসকের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের নির্দেশনা দেন।
উক্ত তদন্ত কার্যক্রমে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক, কর্মচারীর উপস্থিতি যাবতীয় প্রমাণাদি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিভাবক সদস্য শিক্ষক ও এলাকাবাসী, পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তদন্ত কমিটি। উক্ত তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াসির আরাফাত। তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু ইসহাক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলী আশরাফ খান।
উপজেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেনের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শাহরাস্তি, চাঁদপুর এর স্মারক নং-৬৭৭।
মঙ্গলবার থেকে চলা এই তদন্ত আজ বৃহস্পতিবার এসে শেষ হয়। এখন চূড়ান্ত রিপোর্ট মোতাবেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পরেই জানা যাবে অধ্যক্ষ বেলাল হোসেনের ভাগ্যে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে?
এ বিষয়ে মাদ্রাসা গভর্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য মো: আব্দুল কাইয়ুম রিপন জানান শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেন দীর্ঘ বছর যাবৎ মাদ্রাসায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছেন। তিনি একক স্বেচ্ছাচারিতা মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি কাউকে কোন তোয়াক্কা করেন না, তাই তিনি এককভাবে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন।
আমরা প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ অনিয়ম ও দূর্নীতিকারী অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করছি এবং এ দূর্নীতিকারী অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন যতদিন মাদ্রাসায় থাকে ততদিন মাদ্রাসার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও তিনি জানান।