
কৃষিই সমৃদ্ধি, এ স্লোগানে ২০২৪-২৫ অর্থ বৎসরে খরিপ-২ মৌসুমে সাম্প্রতিক বন্যা,অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের ৯ হাজার ৮ শত জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ২০ নভেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসির আরাফাত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আয়শা আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ পাটোয়ারী, বলরাম দাস,মো: ইসহাক খন্দকার, মো: মুকবুল হোসেন , মো: জামাল হোসেন, মো: শাফয়েত হোসেন প্রমুখ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আয়শা আক্তার জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরোধান (হাইব্রিড জাত) বীজ, সার প্রণোদনা কর্মসূচীর মাধ্যমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য ৬ হাজার ২ শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হয়। উফশী জাত ব্যবহারের মাধ্যমে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য ৩ হাজার ৬ শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের প্রণোদনা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মোট উপকারভোগী ৯ হাজার ৮ শত জন। জমির পরিমান ৯ হাজার ৮ শত বিগা। এতে হাইব্রিড ধান বীজ ৬ হাজার ২ শত জন কৃষক জনপ্রতি ২ কেজি ধানবীজ, ও উফশী ধান বীজ ৩ হাজার ৬ শত জন, জনপ্রতি ৫ কেজি ধানবীজ, ডিএপি সার ১০ কেজি,ও এমওপি সার ১০ কেজি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এতে ৩৬.০০ মেট্রিক টন ডিএপি সার, ৩৬.০০ মেট্রিক টন এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের মোট বরাদ্দ ৭০ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা।