ঢাকা , শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তিতে হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশনের বই বিতরণ প্রকাশ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র শিবিরের কার্যক্রমে নতুন নেতৃত্বে ঘোষণা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কবি নজরুল কলেজ শাখার নতুন নেতৃত্ব সভাপতি তাজিম সম্পাদক রেজাউল বর্ণিল আয়োজনে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পিঠা উৎসব উদযাপন শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শাহরাস্তি বিএনপি’র দোয়া মাহফিল শাহরাস্তিতে ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা সাংবাদিক শাহ আলম ভূঁইয়ার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ এর ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী শাহরাস্তিতে খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার শাহরাস্তি সমাজ ও জনকল্যাণ সংঘের উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের ব্যতিক্রমী আয়োজন শাহরাস্তিতে বদলিজনিত কারনে বিদায়ী সহকারী কমিশনার রেজওয়ানা চৌধুরীর সঙ্গে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ; সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পরেশ চন্দ্র পাল

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদগঞ্জে ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল আওয়ামী লীগের বিগত ১৭ বছরে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়,হাসপাতাল ব্যবসার আড়ালে চলছে গাইনি ডাক্তার, নার্স ও নারী স্টাফদের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক।

২০০৮ সালের আগে তিনি কর্মরত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে,সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৮ সালের আগে ফরিদগঞ্জ বাজারে পলাশ ভিলা নামে উনার স্ত্রীর মালিকানাধীন ২য় তলা বৈশিষ্ট্য একটি ভবন ছিলো ২০০৮ পরবর্তী সময়ে ওই ভবনের সম্মুখে আরো একটি পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেন , ২০০৮ -২০২৪ মাত্র ১৬ বছরে বর্তমানে উনি প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও উপরে সম্পদের মালিক হয়েছেন এযেনো আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার সমান।

ফরিদগঞ্জে সদরে ২২ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল ভবনের মালিক তিনি নিজেই এবং হাসপাতালে একক আধিপত্য খাটানোর জন্য ৫০% এর বেশি শেয়ার তার নিজের নামেই নিয়েছেন,অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালে নার্স ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের যৌন হয়রানি করা হয়।

ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পাল সুবিধা পাওয়ার জন্য তার নিজের প্রতিষ্ঠিত কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে নেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনকে,কিন্তু ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদ হোসেনের শেয়ারের টাকা ফেরত দিয়ে তার পরিবর্তে নেওয়া হয় বিএনপি সমর্থিত অন্য আরেকজনকে।

উল্লেখ্য বিগত বছরের ৯ ই আগস্ট ২০২৩ সালে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহাবুদ্দিন ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে শারীরিক সম্পর্ক ধরা খেলে, দ্বিতীয় বিয়ে করেন,তখনকার সময়ে এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হলেও সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স ও নারী স্টাফরা জানান ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের ছেলে পলাশ ও শাহাবুদ্দিন সহ কিছু লোক তাদেরকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন,বিনা প্রয়োজনে গাইনি ডাক্তার, নার্স ও নারী স্টাফদের পার্সোনাল রুমে ডেকে নিয়ে যান পরেশ চন্দ্র পালের ছেলে পলাশ চন্দ্র পাল,এ কারণে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়ে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন অনেক নারী স্টাফরা। (ভিডিও রেকর্ড ধারণ কৃত আছে) পলাশ চন্দ্র পাল চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত খারাপ চরিত্রের একজন মানুষ,অভিযোগ রয়েছে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও তাকে নিয়ে পুনরায় রাত কাটান,এবং অন্যত্রে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আবারও চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এবার জানা যাক ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের খুঁটির জোর কোথায়,জানা যায় ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মোটা অংকের টাকা ডোনেট করতেন নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য,বিগত সময়ে ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের দেওয়া টাকা দিয়ে জামাত-বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যে মামলা হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের।

এছাড়াও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে জড়িত হয়েছেন বিভিন্ন মন্দির ও ধর্মীয় উপসালয়ের কমিটিতে, ফরিদগঞ্জ থানা মন্দিরে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে পরেশ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে একাধিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং তা তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেছেন উৎপল সাহা।

এছাড়াও তার স্ত্রী পেশায় নার্স হলেও অবৈধ গর্ভপাত ও নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে অনেক নবজাতকের মৃত্যু ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়, যেকোনো অপকর্ম স্থানীয়ভাবে অর্থের বিনিময়ে সমাধান করে পেলতেন ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল।

এ হাসপাতালটির অনিয়ম দুর্নীতি নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে তদন্ত করে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়া বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে ডাক্তার পরেশ চন্দ্রপালের সাথে ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশনের বই বিতরণ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ; সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পরেশ চন্দ্র পাল

Update Time : ০১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদগঞ্জে ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল আওয়ামী লীগের বিগত ১৭ বছরে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়,হাসপাতাল ব্যবসার আড়ালে চলছে গাইনি ডাক্তার, নার্স ও নারী স্টাফদের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক।

২০০৮ সালের আগে তিনি কর্মরত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে,সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৮ সালের আগে ফরিদগঞ্জ বাজারে পলাশ ভিলা নামে উনার স্ত্রীর মালিকানাধীন ২য় তলা বৈশিষ্ট্য একটি ভবন ছিলো ২০০৮ পরবর্তী সময়ে ওই ভবনের সম্মুখে আরো একটি পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেন , ২০০৮ -২০২৪ মাত্র ১৬ বছরে বর্তমানে উনি প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও উপরে সম্পদের মালিক হয়েছেন এযেনো আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার সমান।

ফরিদগঞ্জে সদরে ২২ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল ভবনের মালিক তিনি নিজেই এবং হাসপাতালে একক আধিপত্য খাটানোর জন্য ৫০% এর বেশি শেয়ার তার নিজের নামেই নিয়েছেন,অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালে নার্স ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের যৌন হয়রানি করা হয়।

ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পাল সুবিধা পাওয়ার জন্য তার নিজের প্রতিষ্ঠিত কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে নেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনকে,কিন্তু ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদ হোসেনের শেয়ারের টাকা ফেরত দিয়ে তার পরিবর্তে নেওয়া হয় বিএনপি সমর্থিত অন্য আরেকজনকে।

উল্লেখ্য বিগত বছরের ৯ ই আগস্ট ২০২৩ সালে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহাবুদ্দিন ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে শারীরিক সম্পর্ক ধরা খেলে, দ্বিতীয় বিয়ে করেন,তখনকার সময়ে এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হলেও সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স ও নারী স্টাফরা জানান ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের ছেলে পলাশ ও শাহাবুদ্দিন সহ কিছু লোক তাদেরকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন,বিনা প্রয়োজনে গাইনি ডাক্তার, নার্স ও নারী স্টাফদের পার্সোনাল রুমে ডেকে নিয়ে যান পরেশ চন্দ্র পালের ছেলে পলাশ চন্দ্র পাল,এ কারণে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়ে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন অনেক নারী স্টাফরা। (ভিডিও রেকর্ড ধারণ কৃত আছে) পলাশ চন্দ্র পাল চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত খারাপ চরিত্রের একজন মানুষ,অভিযোগ রয়েছে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও তাকে নিয়ে পুনরায় রাত কাটান,এবং অন্যত্রে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আবারও চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এবার জানা যাক ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের খুঁটির জোর কোথায়,জানা যায় ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মোটা অংকের টাকা ডোনেট করতেন নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য,বিগত সময়ে ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের দেওয়া টাকা দিয়ে জামাত-বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যে মামলা হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের।

এছাড়াও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে জড়িত হয়েছেন বিভিন্ন মন্দির ও ধর্মীয় উপসালয়ের কমিটিতে, ফরিদগঞ্জ থানা মন্দিরে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে পরেশ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে একাধিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং তা তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেছেন উৎপল সাহা।

এছাড়াও তার স্ত্রী পেশায় নার্স হলেও অবৈধ গর্ভপাত ও নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে অনেক নবজাতকের মৃত্যু ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়, যেকোনো অপকর্ম স্থানীয়ভাবে অর্থের বিনিময়ে সমাধান করে পেলতেন ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল।

এ হাসপাতালটির অনিয়ম দুর্নীতি নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে তদন্ত করে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়া বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে ডাক্তার পরেশ চন্দ্রপালের সাথে ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Facebook Comments Box