অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ২২ জন শিক্ষক ও কর্চচারী। তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা ও অপসারণের দাবি করেন।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১৭ আগষ্ট উপজেলা প্রশাসন বরাবর একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও অভিভাবক সদস্য লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল শামীমকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত হলেও এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল আহমেদ যেন শেষ কথা। নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য, রসিদ ছাড়াই অর্থ আদায়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট কর্তনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিতর্কিত। এ নিয়ে সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
শিক্ষকরা বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকই চান অধ্যক্ষ পদত্যাগ করুক। তিনি এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে নানান দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা অচিরেই অধ্যক্ষের পদত্যাগ অথবা অপসারণ চাই। তিনি বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ম্যানেজ করে দিব্যি মনগড়া সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়েছেন৷ তাকে বার বার হিসাব ও প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ নিয়ে বসার অনুরোধ করলেও তিনি তা তোয়াক্কা না করেই বীরদর্পে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বেলাল আহমেদ ফোন করা হলে তিনি ফোনটি ধরে নি। পরে তাকে এ বিষয়ে মেসেজ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোন সদুত্তর প্রতিবেদককে দেন নি।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল শামীম বলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছ থেকে অধ্যক্ষের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।