ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তিতে এক্সিম ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের কার্য নিবার্হী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত শাহরাস্তিতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রথম ট্রাভেল গ্রুপের উত্থান শাহরাস্তিতে চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ শাহরাস্তিতে জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন “হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশন” শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির শাস্তি প্রদান শাহরাস্তিতে চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাহরাস্তি মেহের ডিগ্রী কলেজের নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শাহরাস্তিতে ওপেন হাউস ডে পালিত গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শাহরাস্তিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

অবশেষে পদত্যাগ করলো কবি নজরুল সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ আমেনা বেগম

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ আমেনা বেগম।

বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাক্ষ আমেনা বেগম। রোববার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভূয়া ভূয়া বলে স্লোগানে অধ্যক্ষকে তার কার্যালয় অবরুদ্ধ করেন।

এ সময় কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগম শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাদা কাগজে ‘আমি পদত্যাগ করলাম ‘ লিখে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ও সিলমোহর যুক্ত পদত্যাগ করেন।

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কবি নজরুল সরকারি কলেজের সমন্বয় মেহেদী বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের কলেজের চারজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে তিনি আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের কোন খোজ খবর নেননি। এছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের নেত্রী স্থানীয় পর্যায়ে ছিলেন। কলেজের নানা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত । আমাদের দাবির মুখে দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ আমেনা বেগম পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জাকারিয়া বলেন,
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হোন আমাদের কলেজের চার শিক্ষার্থী এবং অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। আমরা বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষে অধ্যক্ষ কে সহযোগিতা জানালেও তিনি সহযোগিতা করেননি। বরং তিনিও সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আচরণ করেছেন। তিনি শেষ মুহূর্তে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করার সময় তিনি চরম দাম্ভিকতার পরিচয় দেন।

জানা গেছে, অধ্যাপক আমেনা বেগম আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির (২০২২-২০২৫) সদস্য ছিলেন। অপরদিকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর ভেঙে দেওয়া হয়েছে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদ। আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা পরিষদের সদস্য হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেন। পরে দুপুর ১টার পর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ছালেহ আহমেদ ফকির শিক্ষক পরিষদ ভেঙে দিতে বাধ্য হন।

এরইমধ্যে তিনি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান ও সহকর্মীদের জানানো যাচ্ছে যে, ১৭তম শিক্ষক পরিষদ রোববার (১১ আগস্ট) হতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

Facebook Comments Box
Tag :

শাহরাস্তিতে এক্সিম ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবশেষে পদত্যাগ করলো কবি নজরুল সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ আমেনা বেগম

Update Time : ০৬:০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ আমেনা বেগম।

বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাক্ষ আমেনা বেগম। রোববার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভূয়া ভূয়া বলে স্লোগানে অধ্যক্ষকে তার কার্যালয় অবরুদ্ধ করেন।

এ সময় কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগম শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাদা কাগজে ‘আমি পদত্যাগ করলাম ‘ লিখে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ও সিলমোহর যুক্ত পদত্যাগ করেন।

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কবি নজরুল সরকারি কলেজের সমন্বয় মেহেদী বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের কলেজের চারজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে তিনি আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের কোন খোজ খবর নেননি। এছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের নেত্রী স্থানীয় পর্যায়ে ছিলেন। কলেজের নানা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত । আমাদের দাবির মুখে দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ আমেনা বেগম পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জাকারিয়া বলেন,
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হোন আমাদের কলেজের চার শিক্ষার্থী এবং অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। আমরা বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষে অধ্যক্ষ কে সহযোগিতা জানালেও তিনি সহযোগিতা করেননি। বরং তিনিও সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আচরণ করেছেন। তিনি শেষ মুহূর্তে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করার সময় তিনি চরম দাম্ভিকতার পরিচয় দেন।

জানা গেছে, অধ্যাপক আমেনা বেগম আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির (২০২২-২০২৫) সদস্য ছিলেন। অপরদিকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর ভেঙে দেওয়া হয়েছে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদ। আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা পরিষদের সদস্য হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেন। পরে দুপুর ১টার পর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ছালেহ আহমেদ ফকির শিক্ষক পরিষদ ভেঙে দিতে বাধ্য হন।

এরইমধ্যে তিনি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান ও সহকর্মীদের জানানো যাচ্ছে যে, ১৭তম শিক্ষক পরিষদ রোববার (১১ আগস্ট) হতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

Facebook Comments Box