মোঃ হাসানুজ্জামানঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে চলাচলের জন্য রাস্তার জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ১৩ এপ্রিল শনিবার দুপুর ১ টায় উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের রায়শ্রী গ্রামের মোল্লা বাড়িতে ঘটে।
জানা যায়, ওই বাড়ির নামে একটি জামে মসজিদ রয়েছে। মসজিদে মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য নব নির্মিত রাস্তাটি প্রশস্ত করার লক্ষ্যে এক শতক জায়গা ক্রয় করেন। উক্ত জায়গা ইয়াজ বদলের মাধ্যমে দেয়া হলেও একই বাড়ির মৃত জলিল মোল্লার পুত্র মোঃ আবুল কালাম নিজের বলে দাবি করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাধে বাকবিতণ্ডা। ঘটনার দিন ও সময়ে ত্বর্কিত ভুমি সংক্রান্ত বিবাদ শুরু হলে ওই বাড়ির মোঃ ইসমাইল মোল্লার ছেলে মোঃ হাসান মোল্লা (৩৪) প্রতিবাদ করে। এতে আবুল কালাম ও তার পুত্র জাহেদ মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসান মোল্লাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এঘটনায় হাসান মোল্লা বাদী হয়ে তিন জনকে বিবাদী করে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বিবাদীরা হলেন, মৃত আবদুল জলিলের পুত্র আবুল কালাম, তার পুত্র জাবেদুল ইসলাম স্বপন মোল্লা ও জহিরুল ইসলাম বাবলু।
অভিযোগের বাদী মোঃ হাসান মোল্লা বলেন, স্থানিয় মসজিদ ও বাড়ির এই রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য এক শতক জায়গা ক্রয় সূত্রে দান করেছেন জনৈক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ইয়াজ বদলের মাধ্যমে মোল্লা বাড়ির মৃত আবদুল জলিলের পুত্র আবুল কালামের নামে এক শতক জায়গা প্রদান করেন। যা আবুল কালাম অন্যত্র বিক্রি করে দেন। অথচ তিনি আবারও ওই জায়গার মালিকানা দাবি করেন। ঘটনার দিন এবিষয়ে মসজিদের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবুল কালাম তার ছেলে জাবেদুল ইসলাম স্বপন আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করি এবং নিজে বাদী হয়ে ঘটনাকারীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করি।
এবিষয়ে মৃত নুরুল্লাহ্ মোল্লার পত্র মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন ও সময়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। রাস্তার জায়গা নিয়ে এভাবে রাজনীতি করা ঠিক হয়নি কালাম মোল্লার। তিনি বিক্রি জায়গা দাবি করা অন্যায়ের সামিল।
রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাসেম বলেন, আবুল কালাম ইতোপূর্বে সামাজিক আইন ভঙ্গ করা শুরু করেছেন। এলাকার লোকজন ওনার ব্যবহারে অতিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন।
১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, আবুল কালামের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, ইভটিজিংয়ের মত বহু ঘটনা রয়েছে। তার বেপরোয়া বেয়াদবির ইতি টানা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এব্যাপারে আবুল কালাম বলেন, আমাকে এলাকার লোকজন ডাক্তার বলে ডাকে। কেন আমাকে ডাক্তার বলে তা আমি জানিনা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা আমাকে আমার বাড়িতে ঢুকে মেরেছে। বিবাদমান পৌনে ৪ শতক জায়গাটি আমার নিজ নামে খরিদা করা।রাস্তার উভয় পাশে আমার জায়গা রয়েছে। পথচারিদের সুবিধার্থে যে এক শতক জায়গা নিয়েছে তা আমাকে রাস্তার উত্তর পাশে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তারা ওই জায়গা আত্মসাত করার পায়তারা করছে। তিনি এই সমাজের বিজ্ঞ জনদের কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেন।