চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে শ্লীলতাহানির ঘটনা মিমাংসা করার বৈঠকে প্রতিবাদীদের উপর হামলা করেছে ঘটনাকারী পরিবার। এতে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এবিষয়ে ঘটনার শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে ৩ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ১৭ এপ্রিল, বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামে।
জানা যায়, ওই গ্রামের বসু বাড়ির ইমান হোসেনের কন্যাকে প্বার্শবর্তি দৈকামতা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার সাথে গত ৮ মাস পূর্বে বিয়ে দেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরে বেড়াতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসছিলো সে। ঘটনার দিন ও সময়ে একই বাড়ির নুর আহমেদের পুত্র শিপনের সাথে অশ্লীল কোন ঘটনা ঘটেছে মর্মে অভিযোগ গৃহবধূর।
থানায় অভিযোগের আলোকে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল সোমবার রাত ৯টায় শ্বশুরালয় থেকে পিত্রালয়ে ফেরার পথে নিজ বাড়ির সামনে বাগান সংলগ্ন জায়গায় একই বাড়ির নুর আহমেদের পুত্র শিপন দ্বারা শ্লীলতাহানীর শিকার হয় গৃহবধূ। এঘটনায় ১৭ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় স্থানিয় মহিলা মেম্বার সেলিনার বসত ঘরে সালিশ বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে ১ ও ২নং বিবাদী অভিযোগের বাদী গৃহবধূকে মারধর করে। এতে ৫ জন আহত হয়।
এবিষয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসার পথে শিপন কাকার সাথে দেখা হয়। তখন রাত প্রায় ৯ বাজে। তিনি আমার সাথে পায়ে হেটে বাড়ি আসছিলেন। বাড়ির সামনে বাগানের কাছে আসলে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার শালিনতা নষ্ট করেন। বিষয়টি আমি বাড়ির মুরব্বি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করি। একদিন পর মহিলা মেম্বার সেলিনার ঘরে দরবারে বসলে শিপন, রিপন ও মহিলা মেম্বার সেলিনা আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় আমার স্বামী, ছোট চাচা, ফুফু ও ছোট ভাই আমাকে বাঁচাতে আসলে তারা তাদের হামলায় আহত হন। এবিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেন তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে শিপনের ঘরে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় ওই বাসায় শুধু শিপনের স্ত্রী ছিলো। এব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।