চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের অকাল মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের নতুন ভূঁইয়া বাড়ির আলমের স্ত্রী ২৪ বছর বয়সী ফারজানা আক্তার ২য় সন্তানের মা হওয়ার ব্যথা অনুভব করলে আত্মীয় স্বজন স্থানীয় আয়নাতলী বাজারে পল্লী চিকিৎসক কামরুল ইসলামের কাছে নিয়ে আসেন। পল্লী চিকিৎসক রোগীকে মেহার কালীবাড়িতে মা ও শিশু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়া সুলতানা রোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ভর্তি দেন।
এবিষয়ে ডাক্তার তানিয়া বলেন, রোগীর শারীরিক পরীক্ষায় শ্বাস কষ্ট, ব্লাড প্রেসার কম ও রক্তে হিমোগ্লোবিন কম পাওয়া যায়। রোগির ফিজিক্যাল ফিটনেস গড়ে তুলতে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করি। একই দিন পৌনে ৪টায় রোগির সিজার সম্পন্ন করতে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এনেস্থিসিয়া ডাক্তার আবদুল বাসেদ ও সিজারিয়ান ডাক্তার শরিফুল ইসলাম সিজার সম্পন্ন করেন।
নিহত প্রসূতির বড় ভাই জহির বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ফারজানার অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত কুমিল্লায় রেফার করেন। ওই সময় আমার বোন মারা গেছে। আমার বোনকে তারা ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত ফারহানার স্বামী আলম বলেন, তারা আমার স্ত্রীকে তাদের অবহেলা জনিত কারনে হত্যা করেছে। তারা এখানে হাসপাতালের নামে কসাইখানা দিয়েছে। তিনি এমন হাসপাতাল নামক কসাইখানা বন্ধের দাবি জানান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা শতভাগ রোগীটিকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। অপারগ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠিয়েছি।
রোগীর আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা বলেন, রোগীর শারীরিক অবস্থার জটিলতা দেখার পরও কেন ডাক্তার তার সিজার করলেন? আসলে সিজারিয়ান ডাক্তার আসেন নি। তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এখন তারাই আবার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
তারা আরও বলেন, এই হাসপাতালের অতীত রেকর্ডও ভালো না। অদক্ষ ডাক্তার দ্বারা মুখস্ত চিকিৎসা দেয়ার কারনে এখন পর্যন্ত বহু রোগী ও তাদের পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে হাসপাতালটি বন্ধের দাবি জানান তারা।