আওয়ামী লীগের ‘ডামি’ নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে থাকবে মন্তব্য করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি।
দেশের মানুষ এ জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তাই জনগণের নীরব ‘ভোট প্রত্যাখান’ জাতির বিজয় এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এ সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে।
তাই এ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ এক দফার যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ সময় ভোট বর্জন, হরতাল পালন করায় দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৭জানুয়ারি) দুপুরে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন শাহরাস্তিতে নিজ বাসায় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত হরতাল সমর্থনে এসব কথা বলেন।
আজকের কলঙ্কজনক দিন থেকে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ভোটে দেশের মানচিত্র জাহান্নামে যাক, অর্থনীতি জাহান্নামে যাক, গণতন্ত্র জাহান্নামে যাক এ সরকারের কিছু আসে যায় না। তবে আজকে থেকে দেশে অর্থনৈতিক ভয়াবহ সংকট শুরু হবে। এ প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটের হার খুবই নগণ্য কিন্তু সন্ধ্যার সময় গণভবন থেকে ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হবে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তাই পাঠ করে শুনাবে।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোট বর্জনের উচিত জবাব আওয়ামী লীগের মুখের ওপর বসিয়ে দিয়েছে। হরতাল জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে পালন করেছে। তাদের মনে রাখা উচিত বাংলার মজলুম মানুষেরা ‘পরাজয়’ মানে না। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।