রুহুল আমিন খাঁন স্বপনঃ পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব কাওনিয়া ভূঁইয়া বাড়িতে। এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় মিশ্র পতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
৩০ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১১:৩০ ঘটিকার সময় ভূঁইয়া বাড়ির মনির আহমদ ভূঁইয়া ঘরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে।
মনির আহমদ ভূঁইয়ার মেয়ে হাজেরা বেগম রায়হান জানান, রাতে আমরা ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এসময় আমাদের ঘরের দরজায় আঘাত করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। আমি আমার বাবাকে ডেকে আনলে তিনি দরজা খুলে দিলে ডাকাত দলের ৪জন ঘরে প্রবেশ করেই বাবার হাত বেঁধে পেলে এরপর আমার মাথায় বন্দুক (রিভলবার) ঠেকিয়ে ভাইয়ের বউয়ের রুমে ঢুকে উনার মুখের কাপড় খোলার জন্য টানা হেছড়া করে এবং উনার কানে থাকা দুল ও গলার ছেইন খুলে নেয়। তাদের হাতে বন্দুক ছিল। এরপর ঘরের বিভিন্ন রুমে গিয়ে ডাকাতদল আলমারী ভেঙ্গে কিছু টাকা, স্বার্নালংকার ও তিনটি মোবাইল ফোন এবং কিছু প্রয়োযনীয় কাগজপত্র নিয়ে চলে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, চিৎকার করে গুলি করে দিবে। আমরা ভয়ে চিৎকার করতে পারি নাই। এ ঘটনার পর থানা পুলিশ বাড়িতে এসে ঘটনা শুনে গিয়েছেন।
ডাকাতদল কি কি নিয়েছে জানতে চাইলে বলেন, আট আনা ওজনের ২ টি হাতের বালা, ৫ আনার একটি চেইন, ১০ আনা ওজনের ২জোড়া কানের দুল, তিনটি মোবাইল ফোন, এর মধ্যে একটি বাটন মোবাইল ২ টি স্মার্ট ফোন এবং নগদ দেড় থেকে দুই হাজার টাকা এবং বাবার পেনশানের বই, আইডি কার্ড নিয়ে যায়। এতে প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ্যাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় ডাকাত।
মনির আহমদ ভূঁইয়ার ছেলে রাছেল জানায়, আমরা তিন ভাই ঢাকায় থাকি। ঘরে আমার অসুস্থ বাবা-মা এবং আমার স্ত্রী ও বোন ছিল। ডাকাত দল চলে যাওয়া পর আমার স্ত্রী আমাকে ও ছোট ভাই রাফিকে জানালে আমরা সাথে সাথে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আমাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে আসে। আমি এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতির ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আইনানুগ ভাবে প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।