ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
১৭ রমজান: ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের ঐতিহাসিক বিজয় বাংলাদেশে আগত হামজা চৌধুরী: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ প্রভাব শাহরাস্তিতে নৃশংস হত্যা: তিন সন্তানের জনক দিনমজুর আলমগীরকে জবাই করে খুন! শাহরাস্তি পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জাতীয় তারকাদের অটোগ্রাফসহ এম, কে, এস ব্যাটে জারিফ ফার্মা’র ছোঁয়া, অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাব পেল বিশেষ উপহার শাহরাস্তির মণিপুরে আলমগীরকে জবাই করে হত্যা মামলার ভয়ে বাবার জানাজায়ও থাকতে পারলেন না চিতোষী ডিগ্রি কলেজ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম হাইমচর প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা শাহরাস্তিতে মুদি দোকানে চুরির ঘটনায় তিন চোর গ্রেফতার মরহুম চাঁড়ু পাটোয়ারী ফাউন্ডেশন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫ : শাহরাস্তিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন

ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বিদ্যালয়ে পালিত হয়নি বিজয় দিবস

রুহুল আমিন খাঁন স্বপনঃ ১৯৭১ সালের রণাঙ্গণের বীর সেনানী শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা জাবেদ এর নামে প্রতিষ্ঠিত ফরিদগঞ্জ বিরামপুর শহীদ জাবেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপণে সুনিদিষ্ট ভাবে বিজয় দিবস পালনের কথা বলা হলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন কর্ণপাত করেন নি।

উপজেলার চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিরামপুর শহীদ জাবেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার (১৬ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত উপস্থিত থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় নি। এমনকি বিদ্যালয়টির মাঠের এক পাশে স্থাপিত শহীদ ব্যাধিতেও শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। অথচ পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ ব্যাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া ও ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল(৬০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০)সহ আরো কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম দায়সারা ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। মহান বিজয় দিবসসহ সকল দিবস গুলোতে বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা, খেলাধূলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার করার নিয়ম থাকলেও তিনি কখনোই তা করেন না। আজকের এই বিশেষ দিনে শিক্ষকদের রুমে ছাড়া আর সকল রুম তালাবদ্ধ। প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম শেষ পর্যন্ত আসেন নি।

বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিজয় দিবস নিয়ে কোন কর্মসূচী নেয়া হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে এসেছেন পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষককে তার মুঠোফোনে কল করলেও বন্ধ পেয়েছেন। বিজয় দিবসে অনুষ্ঠান না করা দু:খজনক। পরে অবশ্য ১১টা ১০ মিনিটে তিনি তার মুঠো ফোনে কল করে তড়ি ঘড়ি করে একটি খেলা আয়োজনের কথা বলেন। সেই মোতাবেক তিনি আশেপাশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করেছেন।

বিদ্যালয়ের বিদোৎসাহী সদস্য সুমন আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের দিনে কোন অনুষ্ঠান হয় না, তা মেনে নেয়া যায় না। অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোনরূপ সভারও আয়োজন করেন নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম এর কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তার মুঠো ফোন একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন মতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস সহ সকল রাষ্ট্রীয় দিবসের অনুষ্ঠান করা বাধ্যতামূলক। বিরামপুর শহীদ জাবেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয় দিবেসর অনুষ্ঠান না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ রমজান: ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের ঐতিহাসিক বিজয়

ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বিদ্যালয়ে পালিত হয়নি বিজয় দিবস

Update Time : ০১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

রুহুল আমিন খাঁন স্বপনঃ ১৯৭১ সালের রণাঙ্গণের বীর সেনানী শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা জাবেদ এর নামে প্রতিষ্ঠিত ফরিদগঞ্জ বিরামপুর শহীদ জাবেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপণে সুনিদিষ্ট ভাবে বিজয় দিবস পালনের কথা বলা হলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন কর্ণপাত করেন নি।

উপজেলার চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিরামপুর শহীদ জাবেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার (১৬ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত উপস্থিত থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় নি। এমনকি বিদ্যালয়টির মাঠের এক পাশে স্থাপিত শহীদ ব্যাধিতেও শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। অথচ পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ ব্যাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া ও ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল(৬০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০)সহ আরো কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম দায়সারা ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। মহান বিজয় দিবসসহ সকল দিবস গুলোতে বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা, খেলাধূলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার করার নিয়ম থাকলেও তিনি কখনোই তা করেন না। আজকের এই বিশেষ দিনে শিক্ষকদের রুমে ছাড়া আর সকল রুম তালাবদ্ধ। প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম শেষ পর্যন্ত আসেন নি।

বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিজয় দিবস নিয়ে কোন কর্মসূচী নেয়া হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে এসেছেন পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষককে তার মুঠোফোনে কল করলেও বন্ধ পেয়েছেন। বিজয় দিবসে অনুষ্ঠান না করা দু:খজনক। পরে অবশ্য ১১টা ১০ মিনিটে তিনি তার মুঠো ফোনে কল করে তড়ি ঘড়ি করে একটি খেলা আয়োজনের কথা বলেন। সেই মোতাবেক তিনি আশেপাশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করেছেন।

বিদ্যালয়ের বিদোৎসাহী সদস্য সুমন আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের দিনে কোন অনুষ্ঠান হয় না, তা মেনে নেয়া যায় না। অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোনরূপ সভারও আয়োজন করেন নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম এর কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তার মুঠো ফোন একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন মতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস সহ সকল রাষ্ট্রীয় দিবসের অনুষ্ঠান করা বাধ্যতামূলক। বিরামপুর শহীদ জাবেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয় দিবেসর অনুষ্ঠান না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box