ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশন একটি মানবতার সংগঠন শাহরাস্তির বিজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রিমুখী ঝামেলায় ব্যহত হচ্ছে পাঠদান স্বপ্ন জাগানিয়া ও বাস্তবায়নে শিক্ষক আবুল কালাম জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইয়ের মারামারি, ছোট ভাই আহত, থানায় অভিযোগ শাহরাস্তিতে টামটা দক্ষিন ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাহরাস্তি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সুমনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলো শিক্ষার্থীরা শাহরাস্তিতে মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন শাহরাস্তিতে বিজয়পুর স্টুডেন্টস ফাউন্ডেশনের ১ যুগ পূর্তি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান শাহরাস্তি মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পড়াশোনার পাশাপাশি শূন্য থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা চাঁদপুরের স্বর্না

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর প্রতিনিধি:
প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ তার ইচ্ছা শক্তি এবং মনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। তেমনি ভাবে একজন সফল শিক্ষার্থীর পাশাপাশি একজন সফল নারী উদ্যোক্তার পরিচয় গড়ে তুলেছে নিজের নামের পাশে স্বর্না। পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা আর মেধাকে পুঁজি করে পা বাড়িয়েছেন তিনি। এই এগিয়ে চলাই আজ তাকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা একজন নারী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে এই সমাজে। স্বর্না নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এগিয়ে যাওয়ার সেই সুন্দর গল্পটি প্রতিবেদককে নিজের মুখেই জানালেন তিনি।জেনে নেয়া যাক তার সংগ্রামের গল্প-

চাঁদপুরে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন স্বর্ণা। হাজী সুমন  ও রিয়া ইসলামের একমাত্র কন্যা স্বর্না। থাকেন চাঁদপুর পৌরসভার ৮ ওয়ার্ড গুয়াখোলা এলাকায়। স্বর্ণার ছোটবেলা থেকেই নিজে কিছু করার ইচ্ছে ছিল, তাই নিজেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠল। বর্তমান ফেসবুকে তিনি নানা রকম পন্য বিক্রি করে, এগুলো হলো শাড়ি , থ্রি পিস, নিজের তৈরি করা অর্গানিক হেয়ার অয়েল ইত্যাদি। পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন রকম মেকওভার সার্ভিস দিয়ে থাকেন বর্তমানে।২০২২ সালের এর কার্যকর্ম শুরুর দিকে সে তার অনলাইনের shorna’s fashion  পেজটি খুলেছেন। পথচলার একবছর হতে চলল। এতে বিনিয়োগ করেছেন মাত্র ৬ হাজার টাকা। একটি মফস্বল শহরে তিনি প্রতি মাসে ১৫/২০ হাজার  টাকা আয় করেন। প্রথম দিকে গ্রাহক, ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা এখন বিভিন্ন দেশের প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে সফল নারী উদ্যোক্তা স্বর্ণা বলেন এটার পিছনে আমার মায়ের অবদান সবচাইতে বেশি। মা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছেন এবং যে কোন সময় মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিতাম। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু একটা করবো। আমি যেই পণ্যগুলো বিক্রি করি সেইগুলোর মডেল আমি নিজেই করি। আমার থেকে কোন পন্য নিতে চাইলে আমার shorna’s fashion পেইজে গিয়ে অর্ডার করতে পারবেন।
আমাদের দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা বেশ ভালো কাজ করেন। পিছিয়ে নেই নারী উদ্যোক্তারাও। কিন্তু সঠিক নির্দেশনার অভাবে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিতে পারেন না তারা। মনের চাওয়াকে গুরুত্ব দিতে পারলে সফল হওয়া যায় বলেই আমি বিশ্বাস করি। আমার মতে, নারী তখনই সবকিছু উতরে যেতে পারবেন, যখন বিশ্বাস করবেন তিনি এটা পারবেনই।
Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশন একটি মানবতার সংগঠন

পড়াশোনার পাশাপাশি শূন্য থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা চাঁদপুরের স্বর্না

Update Time : ১১:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর প্রতিনিধি:
প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ তার ইচ্ছা শক্তি এবং মনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। তেমনি ভাবে একজন সফল শিক্ষার্থীর পাশাপাশি একজন সফল নারী উদ্যোক্তার পরিচয় গড়ে তুলেছে নিজের নামের পাশে স্বর্না। পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা আর মেধাকে পুঁজি করে পা বাড়িয়েছেন তিনি। এই এগিয়ে চলাই আজ তাকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা একজন নারী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে এই সমাজে। স্বর্না নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এগিয়ে যাওয়ার সেই সুন্দর গল্পটি প্রতিবেদককে নিজের মুখেই জানালেন তিনি।জেনে নেয়া যাক তার সংগ্রামের গল্প-

চাঁদপুরে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন স্বর্ণা। হাজী সুমন  ও রিয়া ইসলামের একমাত্র কন্যা স্বর্না। থাকেন চাঁদপুর পৌরসভার ৮ ওয়ার্ড গুয়াখোলা এলাকায়। স্বর্ণার ছোটবেলা থেকেই নিজে কিছু করার ইচ্ছে ছিল, তাই নিজেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠল। বর্তমান ফেসবুকে তিনি নানা রকম পন্য বিক্রি করে, এগুলো হলো শাড়ি , থ্রি পিস, নিজের তৈরি করা অর্গানিক হেয়ার অয়েল ইত্যাদি। পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন রকম মেকওভার সার্ভিস দিয়ে থাকেন বর্তমানে।২০২২ সালের এর কার্যকর্ম শুরুর দিকে সে তার অনলাইনের shorna’s fashion  পেজটি খুলেছেন। পথচলার একবছর হতে চলল। এতে বিনিয়োগ করেছেন মাত্র ৬ হাজার টাকা। একটি মফস্বল শহরে তিনি প্রতি মাসে ১৫/২০ হাজার  টাকা আয় করেন। প্রথম দিকে গ্রাহক, ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা এখন বিভিন্ন দেশের প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে সফল নারী উদ্যোক্তা স্বর্ণা বলেন এটার পিছনে আমার মায়ের অবদান সবচাইতে বেশি। মা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছেন এবং যে কোন সময় মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিতাম। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু একটা করবো। আমি যেই পণ্যগুলো বিক্রি করি সেইগুলোর মডেল আমি নিজেই করি। আমার থেকে কোন পন্য নিতে চাইলে আমার shorna’s fashion পেইজে গিয়ে অর্ডার করতে পারবেন।
আমাদের দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা বেশ ভালো কাজ করেন। পিছিয়ে নেই নারী উদ্যোক্তারাও। কিন্তু সঠিক নির্দেশনার অভাবে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিতে পারেন না তারা। মনের চাওয়াকে গুরুত্ব দিতে পারলে সফল হওয়া যায় বলেই আমি বিশ্বাস করি। আমার মতে, নারী তখনই সবকিছু উতরে যেতে পারবেন, যখন বিশ্বাস করবেন তিনি এটা পারবেনই।
Facebook Comments Box