রিয়াজ শাওন:
চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার রুপালী ইলিশ মাছের স্বাদ আর ঘ্রাণ অতুলনীয়। চাঁদপুরেই উৎপাদন হয় পৃথিবীর উৎকৃষ্ট মানে সুস্বাদু ইলিশ মাছ। তাই চাঁদপুরকে বলা হয়ে থাকে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর।
যার ফলে চাঁদপুরের রুপালী ইলিশের প্রতি ভোজনরসিক মানুষের রয়েছে বিশেষ আর্কষন। তাই প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রুপালি ইলিশ খেতে চাঁদপুরে ছুটে আসছে মানুষ। আবার কেউ কেউ চাঁদপুর থেকে সঙ্গে করে স্বজনদের জন্য নিয়ে যাচ্ছে ইলিশ।
চাঁদপুরের কয়েকজন অনলাইন উদ্যোক্তার কল্যাণে এখন ঘরে বসে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দেশে যেকোনো প্রান্ত থেকেই যে কেউই কিনতে পারছে রুপালী ইলিশ মাছ। যদিও অনলাইনে ইলিশ মাছ কিনতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
তবে গত চার বছর ধরে সবার থেকে ব্যতিক্রম এবং বিশ্বস্ততার সাথে অনলাইনে চাঁদপুরের রুপালি ইলিশ মাছ বিক্রি করছে “ইলিশ ভাইয়া চাঁদপুর” নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশনে অবস্থিত চাঁদপুর মৎস আহরণ কেন্দ্র প্রবেশদ্বারে ইলিশ ভাইয়া চাঁদপুরের একটি মাছের আড়ত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘ ইলিশ ভাইয়া চাঁদপুর ‘ নামে পেইজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ মাছ বিক্রি করছে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী কাজ করছে। যারা অনলাইন ও অফলাইনে নিয়মিত চাঁদপুরে রুপালি ইলিশ মাছ পৌঁছে দিচ্ছে মানুষের মাঝে।
ইলিশ ভাইয়া চাঁদপুর এর স্বত্বাধিকারী মো: খোকন পাটওয়ারী বলেন, আমরা আসলে চাঁদপুরের অরিজিনাল রুপালি ইলিশ বিক্রি করছি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী । আমরা গত চার বছর ধরে অনলাইনে সারাদেশে বিশ্বস্তার সাথে মানুষের মাঝে ইলিশ মাছ বিক্রি করছি। এরই মধ্যে আমরা ক্রেতাদের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরো অনেক বড় আকারে নিয়ে যেতে কাজ করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট রয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক ও বিকাশ একাউন্ট রয়েছে।