ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
শিরোনাম:
শাহরাস্তি থানার গৌরবময় অর্জন: অভিন্ন মানদণ্ডে চার বিভাগে পুরস্কার পেলেন কর্মকর্তারা চাঁদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২৯৫ পিস ইয়াবা ও ৪৫ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ইতিহাস কি নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে? ১৯৪১ ও ২০২৫ সালের আয়নায় বিশ্ব শাহরাস্তিতে রাগৈ ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ফজরের নামাজ, দৌড় আর স্বাস্থ্যকর নাশতায় নতুন সকালের সূচনা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় শাওনের পরিবার: শাহরাস্তির কিশোর হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই শাহরাস্তিতে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২ মাদক ব্যবসায়ী শাহরাস্তিতে গ্যারেজের তালা ভেঙে এক রাতে তিনটি অটোরিকশা চুরি: অজ্ঞাত চক্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রশিদপুর একতা বন্ধনের মানবিক উদ্যোগ: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবককে আর্থিক সহায়তা শাহরাস্তিতে গাছে উস্কানিমূলক স্টিকার: জামায়াতের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরির অভিযোগ ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা: শাহরাস্তিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

শাহরাস্তির চিতোষী বাজারের চৌরাস্তার বেহাল দশা,বাড়ছে জন দুর্ভোগ

  • অফিস ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ৫০৫২৪ Time View

চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি উপজেলার অফিস চিতোষী বাজারের চৌরাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চৌরাস্তায় মূল সড়কে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা ক্ষত হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। একদিকে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ির যানজট অন্যদিকে পানি জমে খানাখন্দ সড়ক। এই দুই মিলিয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ছে। স্থানীয়দের দাবি চৌরাস্তায় পানি জমে সড়কটি ক্ষতির দিকে যাচ্ছে এতে নিরব ভূমিকা পালন করছে সড়ক কর্তৃপক্ষ।

বাজারের চৌরাস্তাটি দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চৌরাস্তাটির দক্ষিণ দিকের সড়কটি গিয়েছে মনহোরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ বাজার হয়ে নোয়াখালাী ও লক্ষীপুরের দিকে। আর উত্তর দিকের সড়কটি গিয়েছে মনহোরগঞ্জ উপজেলার শান্তির বাজার থেকে মুদাফফরগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা সদরের দিকে। চৌরাস্তাটির পূর্ব দিকের সড়কটি স্থানীয় ইউনিয়ন কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হলেও পশ্চিম দিকের সড়কটি খিলা হয়ে শাহরাস্তি পৌরসভার দিকে গিয়েছে। এই চৌরাস্তাটি কয়েকটা জেলার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় জন দূর্ভোগ ক্রমশই বাড়ছে।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলম বেলাল বলেন,  সবাই হয়তো বর্ষাকালে চিতোষী বাজারের এই অবস্থা লক্ষ্য করে। কিন্তু আমি প্রতিদিনই এই চিতোষী বাজারের মধ্যম ভাগে এমন অবস্থা লক্ষ্য করি। তার কারন হলো বাজারে যে মাছের আড়ৎ আছে তারা সকাল বেলা মাছ ক্রয় করার সময় অর্থাৎ বিভিন্ন জেলা থেকে যে মাছগুলো চিতোষী বাজারে আসে সেগুলো ক্রয় করে তখন মাছগুলো অক্সিজেন দেওয়া অবস্থায় ড্রামে ড্রামে আসে। মাছ ক্রয়ের পর তারা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অথবা ড্রেন ব্যবস্থা ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় রাস্তার মধ্যে মাছের পানি গুলো ফেলে দেয়। যার ফলে আমি ১২ মাসই এ চিতোষী মধ্যম বাজারে এই বেহাল দশা দেখেছি। এর নির্মূলের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মাছ আড়ৎদাররা তারা নিজ দায়িত্বে পানি অপসারণ করবে অথবা নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট দিয়ে যে কোনো একজনকে রাখবে যাতে পানি নিষ্কাশন হয়। আর যদি এমনটা না হয় তাহলে তারা জরিমানার অন্তর্ভুক্ত হবে। এবং সেই সাথে তরকারি ব্যবসায়ীদেরও। যারা সারাদিনই তরকারির মধ্যে সতেজ থাকার জন্য পানি ব্যবহার করে এবং তা নিয়ন্ত্রণহীন করার কারণে রাস্তায় পৌঁছে যায়।
কিন্তু আমার এই সিদ্ধান্তর পর কিছু ব্যবসায়ীরা এর বিরোধিতা করে এবং আমার নামে অনেক অপপ্রচার চালায়। যারা ভাবতেছে এ রাস্তার মেরামত করা হচ্ছে না কেন? তারা একটু ভেবে দেখেন? এ রাস্তা যতই মেরামত করা হোক না কেন। যদি ড্রেন ব্যবস্থা ঠিক না হয় এবং আমাদের মধ্যে যারা ব্যবসা করে তারা নিজেরা সচেতন না হন তাহলে এ রাস্তা মেরামত করলে আবারো তা নষ্ট হবেই। তাই চিতোষী মধ্যম বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক বছরই কষ্ট করছে এবং সেই সাথে জনগণও। আমি এসেছি এক বছর হয়েছে। আপনাদের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কিন্তু ড্রেন ব্যবস্থা এবং রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করবো। সবগুলো প্রক্রিয়া দিন অবস্থায় আছে।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তি থানার গৌরবময় অর্জন: অভিন্ন মানদণ্ডে চার বিভাগে পুরস্কার পেলেন কর্মকর্তারা

শাহরাস্তির চিতোষী বাজারের চৌরাস্তার বেহাল দশা,বাড়ছে জন দুর্ভোগ

Update Time : ০৩:১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি উপজেলার অফিস চিতোষী বাজারের চৌরাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চৌরাস্তায় মূল সড়কে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা ক্ষত হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। একদিকে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ির যানজট অন্যদিকে পানি জমে খানাখন্দ সড়ক। এই দুই মিলিয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ছে। স্থানীয়দের দাবি চৌরাস্তায় পানি জমে সড়কটি ক্ষতির দিকে যাচ্ছে এতে নিরব ভূমিকা পালন করছে সড়ক কর্তৃপক্ষ।

বাজারের চৌরাস্তাটি দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চৌরাস্তাটির দক্ষিণ দিকের সড়কটি গিয়েছে মনহোরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ বাজার হয়ে নোয়াখালাী ও লক্ষীপুরের দিকে। আর উত্তর দিকের সড়কটি গিয়েছে মনহোরগঞ্জ উপজেলার শান্তির বাজার থেকে মুদাফফরগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা সদরের দিকে। চৌরাস্তাটির পূর্ব দিকের সড়কটি স্থানীয় ইউনিয়ন কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হলেও পশ্চিম দিকের সড়কটি খিলা হয়ে শাহরাস্তি পৌরসভার দিকে গিয়েছে। এই চৌরাস্তাটি কয়েকটা জেলার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় জন দূর্ভোগ ক্রমশই বাড়ছে।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলম বেলাল বলেন,  সবাই হয়তো বর্ষাকালে চিতোষী বাজারের এই অবস্থা লক্ষ্য করে। কিন্তু আমি প্রতিদিনই এই চিতোষী বাজারের মধ্যম ভাগে এমন অবস্থা লক্ষ্য করি। তার কারন হলো বাজারে যে মাছের আড়ৎ আছে তারা সকাল বেলা মাছ ক্রয় করার সময় অর্থাৎ বিভিন্ন জেলা থেকে যে মাছগুলো চিতোষী বাজারে আসে সেগুলো ক্রয় করে তখন মাছগুলো অক্সিজেন দেওয়া অবস্থায় ড্রামে ড্রামে আসে। মাছ ক্রয়ের পর তারা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অথবা ড্রেন ব্যবস্থা ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় রাস্তার মধ্যে মাছের পানি গুলো ফেলে দেয়। যার ফলে আমি ১২ মাসই এ চিতোষী মধ্যম বাজারে এই বেহাল দশা দেখেছি। এর নির্মূলের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মাছ আড়ৎদাররা তারা নিজ দায়িত্বে পানি অপসারণ করবে অথবা নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট দিয়ে যে কোনো একজনকে রাখবে যাতে পানি নিষ্কাশন হয়। আর যদি এমনটা না হয় তাহলে তারা জরিমানার অন্তর্ভুক্ত হবে। এবং সেই সাথে তরকারি ব্যবসায়ীদেরও। যারা সারাদিনই তরকারির মধ্যে সতেজ থাকার জন্য পানি ব্যবহার করে এবং তা নিয়ন্ত্রণহীন করার কারণে রাস্তায় পৌঁছে যায়।
কিন্তু আমার এই সিদ্ধান্তর পর কিছু ব্যবসায়ীরা এর বিরোধিতা করে এবং আমার নামে অনেক অপপ্রচার চালায়। যারা ভাবতেছে এ রাস্তার মেরামত করা হচ্ছে না কেন? তারা একটু ভেবে দেখেন? এ রাস্তা যতই মেরামত করা হোক না কেন। যদি ড্রেন ব্যবস্থা ঠিক না হয় এবং আমাদের মধ্যে যারা ব্যবসা করে তারা নিজেরা সচেতন না হন তাহলে এ রাস্তা মেরামত করলে আবারো তা নষ্ট হবেই। তাই চিতোষী মধ্যম বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক বছরই কষ্ট করছে এবং সেই সাথে জনগণও। আমি এসেছি এক বছর হয়েছে। আপনাদের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কিন্তু ড্রেন ব্যবস্থা এবং রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করবো। সবগুলো প্রক্রিয়া দিন অবস্থায় আছে।

Facebook Comments Box