চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি উপজেলার অফিস চিতোষী বাজারের চৌরাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চৌরাস্তায় মূল সড়কে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা ক্ষত হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। একদিকে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ির যানজট অন্যদিকে পানি জমে খানাখন্দ সড়ক। এই দুই মিলিয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ছে। স্থানীয়দের দাবি চৌরাস্তায় পানি জমে সড়কটি ক্ষতির দিকে যাচ্ছে এতে নিরব ভূমিকা পালন করছে সড়ক কর্তৃপক্ষ।
বাজারের চৌরাস্তাটি দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চৌরাস্তাটির দক্ষিণ দিকের সড়কটি গিয়েছে মনহোরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ বাজার হয়ে নোয়াখালাী ও লক্ষীপুরের দিকে। আর উত্তর দিকের সড়কটি গিয়েছে মনহোরগঞ্জ উপজেলার শান্তির বাজার থেকে মুদাফফরগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা সদরের দিকে। চৌরাস্তাটির পূর্ব দিকের সড়কটি স্থানীয় ইউনিয়ন কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হলেও পশ্চিম দিকের সড়কটি খিলা হয়ে শাহরাস্তি পৌরসভার দিকে গিয়েছে। এই চৌরাস্তাটি কয়েকটা জেলার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় জন দূর্ভোগ ক্রমশই বাড়ছে।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলম বেলাল বলেন, সবাই হয়তো বর্ষাকালে চিতোষী বাজারের এই অবস্থা লক্ষ্য করে। কিন্তু আমি প্রতিদিনই এই চিতোষী বাজারের মধ্যম ভাগে এমন অবস্থা লক্ষ্য করি। তার কারন হলো বাজারে যে মাছের আড়ৎ আছে তারা সকাল বেলা মাছ ক্রয় করার সময় অর্থাৎ বিভিন্ন জেলা থেকে যে মাছগুলো চিতোষী বাজারে আসে সেগুলো ক্রয় করে তখন মাছগুলো অক্সিজেন দেওয়া অবস্থায় ড্রামে ড্রামে আসে। মাছ ক্রয়ের পর তারা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অথবা ড্রেন ব্যবস্থা ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় রাস্তার মধ্যে মাছের পানি গুলো ফেলে দেয়। যার ফলে আমি ১২ মাসই এ চিতোষী মধ্যম বাজারে এই বেহাল দশা দেখেছি। এর নির্মূলের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মাছ আড়ৎদাররা তারা নিজ দায়িত্বে পানি অপসারণ করবে অথবা নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট দিয়ে যে কোনো একজনকে রাখবে যাতে পানি নিষ্কাশন হয়। আর যদি এমনটা না হয় তাহলে তারা জরিমানার অন্তর্ভুক্ত হবে। এবং সেই সাথে তরকারি ব্যবসায়ীদেরও। যারা সারাদিনই তরকারির মধ্যে সতেজ থাকার জন্য পানি ব্যবহার করে এবং তা নিয়ন্ত্রণহীন করার কারণে রাস্তায় পৌঁছে যায়।
কিন্তু আমার এই সিদ্ধান্তর পর কিছু ব্যবসায়ীরা এর বিরোধিতা করে এবং আমার নামে অনেক অপপ্রচার চালায়। যারা ভাবতেছে এ রাস্তার মেরামত করা হচ্ছে না কেন? তারা একটু ভেবে দেখেন? এ রাস্তা যতই মেরামত করা হোক না কেন। যদি ড্রেন ব্যবস্থা ঠিক না হয় এবং আমাদের মধ্যে যারা ব্যবসা করে তারা নিজেরা সচেতন না হন তাহলে এ রাস্তা মেরামত করলে আবারো তা নষ্ট হবেই। তাই চিতোষী মধ্যম বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক বছরই কষ্ট করছে এবং সেই সাথে জনগণও। আমি এসেছি এক বছর হয়েছে। আপনাদের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কিন্তু ড্রেন ব্যবস্থা এবং রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করবো। সবগুলো প্রক্রিয়া দিন অবস্থায় আছে।