ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তিতে হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশনের বই বিতরণ প্রকাশ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র শিবিরের কার্যক্রমে নতুন নেতৃত্বে ঘোষণা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কবি নজরুল কলেজ শাখার নতুন নেতৃত্ব সভাপতি তাজিম সম্পাদক রেজাউল বর্ণিল আয়োজনে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পিঠা উৎসব উদযাপন শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শাহরাস্তি বিএনপি’র দোয়া মাহফিল শাহরাস্তিতে ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা সাংবাদিক শাহ আলম ভূঁইয়ার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ এর ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী শাহরাস্তিতে খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার শাহরাস্তি সমাজ ও জনকল্যাণ সংঘের উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের ব্যতিক্রমী আয়োজন শাহরাস্তিতে বদলিজনিত কারনে বিদায়ী সহকারী কমিশনার রেজওয়ানা চৌধুরীর সঙ্গে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

পারিবারিক কলহে বাবা চেরাগ আলী (৭৫) কে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে ইমরান হোসেন আকবর (৪০) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

২ আগষ্ট বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দেন। একই সাথে আপরাধীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত ইমরান হোসেন আকবর চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় সেতিনারায়নপুর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে। হত্যার শিকার চেরাগ আলী ওই বাড়ীর মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ইমরান উশৃঙ্খল ও বখাটে প্রকৃতির। তিনি নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে প্রায়ই মারধর করতেন। যার কারণে ২০১৭ সালে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়।

এদিকে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার বাবার মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই চেরাগ আলীর মৃত্যু হয়।

ওই সময় তার মা ফুলমতি বেগম স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে, ছেলে ইমরান তাকেও মেরে আহত করে। এরপর পরিবারের লোকজন ফুলমতি বেগম উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে চেরাগ আলীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই ইমরানকে হত্যা মামলার আসামী করে তার ছোট ভাই সোলায়মান বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই বছর ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৩ বছরের অধিক সময় চলা অবস্থায় আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে হেল্পিং হ্যান্ডস ইউথ ফাউন্ডেশনের বই বিতরণ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

Update Time : ০৫:২৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

পারিবারিক কলহে বাবা চেরাগ আলী (৭৫) কে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে ইমরান হোসেন আকবর (৪০) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

২ আগষ্ট বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দেন। একই সাথে আপরাধীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত ইমরান হোসেন আকবর চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় সেতিনারায়নপুর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে। হত্যার শিকার চেরাগ আলী ওই বাড়ীর মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ইমরান উশৃঙ্খল ও বখাটে প্রকৃতির। তিনি নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে প্রায়ই মারধর করতেন। যার কারণে ২০১৭ সালে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়।

এদিকে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার বাবার মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই চেরাগ আলীর মৃত্যু হয়।

ওই সময় তার মা ফুলমতি বেগম স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে, ছেলে ইমরান তাকেও মেরে আহত করে। এরপর পরিবারের লোকজন ফুলমতি বেগম উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে চেরাগ আলীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই ইমরানকে হত্যা মামলার আসামী করে তার ছোট ভাই সোলায়মান বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই বছর ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৩ বছরের অধিক সময় চলা অবস্থায় আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

Facebook Comments Box