শাহ আলম ভূঁইয়াঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের রায়শ্রী গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে জিয়ার বাড়ির কর্নার ও সেখান থেকে উওর দিকে অবস্থিত রেললাইনের নিকট মিয়াজীবাড়ির সীমানা পর্যন্ত ইউ আকৃতির প্রায় ১০০০ মিটার(১ কি.মি.)
কাঁচা রাস্তা।
এ রাস্তায় চলাচল করেন গ্রামের শত শত লোকজন। শ্রমজীবী মানুষকে যেতে হয় কাজে, ছেলে মেয়েদের যেতে হয় স্কুল কলেজে। বৃষ্টি হলেই কাদা মাটির পিচ্ছিল রাস্তা এবং জলাবদ্ধতা।শত শত মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মৌখিকভাবে শতবার জানানোর পরও চলাচলের এই কাঁচা রাস্তাটুকুর সংস্কার হয়নি। ইতোপূর্বে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেদের দুর্ভোগ কমাতে নিজ অর্থায়নে ইটের আদলা এনে মাঝেমধ্যে রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছেন।কিন্তু সম্পূর্ণ রাস্তাটির সংস্কার সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) শাহরাস্তির রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ – পশ্চিম পাড়া এলাকার রাস্তায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ -পশ্চিম পাড়ার রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিক হতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ সাহেবের বাড়ির পাশ দিয়ে গিয়ে পূর্ব দিকে কালবার্ট হয়ে দক্ষিনে জিয়ার বাড়ি এবং উত্তরে মিয়াজী বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০০০ মিটার (১ কি.মি.) কাঁচা রাস্তা বৃষ্টির মৌসুমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই রাস্তার চারপাশে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার বসবাস করে। প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা এটি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই রাস্তার কথা বারবার বলা হলেও কোনো সংস্কার হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।বৃষ্টিতে একাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে রাস্তাটি, অনেক জায়গায় রাস্তার দুই ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙে পড়ছে। ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।র্দীঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখন পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি।
গ্রামবাসী হারুনুর রশিদ,হানিফুর রহমান,রহমত উল্যাহ,জয়নাল আবেদিন,আঃ আজিজ, ওবায়দুল হক,আমিনুল হক,ফজলুল হক, আঃ রশিদ,ইউসুফ আলি,মনির হোসেন,নেয়ামত উল্যাহ,মাহফুজ,আঃ হান্নান,সামছুল হক,নুরুল হক,আবুল বাসার,মো.বিল্লাল হোসেন,আঃমমিন,আঃ মান্নান,জিহাদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, সত্য বলতে আমাদের চলাচলে কোন শান্তি নেই,কোনো মূল্য নেই জনজীবনের, আমাদের এত কষ্ট হয় এই রাস্তা দিয়ে চলতে,বলার সেই ভাষা আর নেই।দশ- বারো বছর যাবত আমরা অবহেলিত,কোন কাজই এই রাস্তায় হয়নি। বর্ষার সময় বাহিরে যেতে পারি না, পা পিছলে পড়তে হয়। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। কোনো ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল চলতে গেলে উল্টে পড়ে। গত দশ-বারো বছর ধরে মেম্বার, চেয়ারম্যান সবাইকে বলেছি রাস্তাটা করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা এদিকে নজরই দেননি। সবাই আশ্বাস দিয়েছেন করে দেবেন, কিন্তু দেননি।
রাস্তাটি পাকা করণ করা হলে আমাদের কষ্ট দূর হবে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সাংসদ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সর্বসাধারণ।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, রাস্তাটার বিষয়ে আমি অবগত আছি। নিজে থেকে কিছু কাজ করায় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ। পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে ওই রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হবে।