যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে আজ সারাদেশের ন্যায় শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী রায়শ্রী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালন করছেন তাদের অন্যতম দ্বিতীয় এই ধর্মীয় উৎসব।
আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভের আশায় দেশের ধর্মপ্রাণ লাখো-কোটি মানুষ আজ সকালে ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে সামিয়ানার নিচে আজ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় রায়শ্রী গ্রামের একমাত্র বিশাল ঈদগাহ রায়শ্রী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় তিন সহস্রাধিক মুসল্লি নিয়ে ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রামের শিক্ষক,সাংবাদিক,ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী,প্রবাস ফেরত রেমিট্যান্স যুদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেনী-পেশার,সর্বস্তরের হাজারও মানুষ উৎসব আমেজে সেখানে নামাজ আদায় করেন।
দূর-দূরান্ত থেকে ছোট বড় এবং শিশুরাও নতুন জামা-কাপড় পরে ঈদের জামাতে শরীক হতে ছুটে আসেন ঈদগাহ মাঠে ।
ঈদের জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি এমরান হোসাইন সালেহী। জামাত পূর্ব আলোচনায় তিনি বলেন, ঈদুল আযহার পশু কোরবানি একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত, কারণ এটি সব মুসলমানই একসাথে একই দিনে একই নিয়মে পালন করে থাকে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দু’টি উৎসবের মধ্যে ঈদুল আযহা দ্বিতীয়। ঈদুল আযহা মূলত আরবি শব্দ যার অর্থ- ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হলো- ত্যাগের মহিমায় নিজকে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন। ঈদুল আযহায় আল্লাহর রাহে ত্যাগ ও কোরবানির চেতনা ভাস্বর হয়ে ওঠে। পশু জবাই করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রচেষ্টা মানব ইতিহাসের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে।
আলোচনা শেষে নামাজ আদায় ও খুতবা প্রদান করা হয়।পরবর্তীতে দোয়া মুনাজাতে এলাকাবাসী ও বিশ্বমুসলিম উম্মাহর সুখ শান্তি কামনা করা হয়।
শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ।