ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
দুর্বৃত্তের হামলায় শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কবি নজরুল সরকারি কলেজে পবিত্র ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালিত শাহরাস্তিতে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত থেকেও বেতন তোলেন শিক্ষিকা শ্রীপুরে বাড়ি দখলের চেষ্টা অভিযোগ এক নারীর বিরুদ্ধে যুবদল নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ-সেক্রেটারি মেছবাহ উদ্দিন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসেনার আয়োজনে ঈদে মিলাদুন্নবি সাঃ স্বাগত র‍্যালি ও আলোচনা সভা কবি নজরুল সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও কর্মচারীর অনাস্থা শাহরাস্তিতে কালীবাড়ি বাজার ব্যবসায়ী তারেকুল ইসলাম পাটোয়ারীর পিতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন

চাঁদপুরের শাহরাস্তির দৃশ্যপট পাল্টে দিবে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের ওয়াকওয়ে

  • অফিস ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • ৫২১৫৬ Time View

চাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি উপজেলা। হযরত শাহরাস্তি বোগদাদী (রঃ) নামে প্রতিষ্ঠিত এ এলাকায় রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বের অন্যতম সীদ্ধপীঠস্থান। শান্তি প্রিয় এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তুলনায় শাহরাস্তিতে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম। তাই এ এলাকার আইনশৃঙ্খলা থাকে বরাবরই নিয়ন্ত্রণে। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ এলাকা হলেও শাহরাস্তিতে নেই কোন বিনোদনের সুবিধা। নির্মল পরিবেশে দেহ মনকে প্রশান্তি দেওয়ার মতো একটু জায়গা খুঁজে বের করা কঠিন ছিল শাহরাস্তি বাসীর। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নিয়েও ব্যর্থ হতে হয়।

শাহরাস্তি বাসির অভিভাবক মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মাধ্যমে বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। বেশ কয়েকবার তিনি পর্যটন রিসোর্ট তৈরির জন্য উদ্যোগ নেন। একের পর এক পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। অবশেষে বিআইডব্লিউটিসির প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয় ডাকাতিয়া নদীর পাড়। ডাকাতিয়া নদীর উপর সুচিপাড়া ব্রিজ থেকে চিখটিয়া ব্রিজ পর্যন্ত দু-কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে নির্মম কাজ করার পর এমাসেই এটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও পার্কিংয়ের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে বিলম্ব হওয়ায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান তানিয়া এন্টারপ্রাইজের সাইড ইঞ্জিনিয়ার দ্বীপক হালদার জানান, ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দু-এক মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।

বিআইডব্লিউটিএর কারিগরী সহকারী আরিফ হোসেন জানান, জুন মাসে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু উভয় দিকে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা বর্ধিত করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি জানান, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রায় ১৭.৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পার্কিংয়ের জন্য নতুন করে আরও ২ একর জমির অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলে অল্পসময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।

ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলে শাহরাস্তি উপজেলার দৃশ্যপট বদলে যাবে বলে অনেকের ধারনা। এই ওয়াকওয়েটির সুফল শুধু শাহরাস্তি বাসিই ভোগ করবেনা সাথে সাথে উপজেলার দুপাড়ের জনগন, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার জনগন অল্প সময়েই ওয়াকওয়েটির সুফল ভোগ করবে।

ধারণা করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে ঘিরে ব্যবসায়ি কেন্দ্র গড়ে উঠবে। জনগণের অবাধ বিচরণের ফলে প্রাণচাঞ্চল হয়ে উঠবে শাহরাস্তি উপজেলা। ইতিমধ্যেই ডাকাতিয়া পড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রিক কপি পার্ক। প্রতিদিনই এখানে শত শত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এ অঞ্চল। ওয়াকওয়েটির কাজ সমাপ্ত হলে জনগণের পদচারণা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্বৃত্তের হামলায় শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

চাঁদপুরের শাহরাস্তির দৃশ্যপট পাল্টে দিবে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের ওয়াকওয়ে

Update Time : ০৭:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

চাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি উপজেলা। হযরত শাহরাস্তি বোগদাদী (রঃ) নামে প্রতিষ্ঠিত এ এলাকায় রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বের অন্যতম সীদ্ধপীঠস্থান। শান্তি প্রিয় এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তুলনায় শাহরাস্তিতে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম। তাই এ এলাকার আইনশৃঙ্খলা থাকে বরাবরই নিয়ন্ত্রণে। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ এলাকা হলেও শাহরাস্তিতে নেই কোন বিনোদনের সুবিধা। নির্মল পরিবেশে দেহ মনকে প্রশান্তি দেওয়ার মতো একটু জায়গা খুঁজে বের করা কঠিন ছিল শাহরাস্তি বাসীর। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নিয়েও ব্যর্থ হতে হয়।

শাহরাস্তি বাসির অভিভাবক মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মাধ্যমে বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। বেশ কয়েকবার তিনি পর্যটন রিসোর্ট তৈরির জন্য উদ্যোগ নেন। একের পর এক পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। অবশেষে বিআইডব্লিউটিসির প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয় ডাকাতিয়া নদীর পাড়। ডাকাতিয়া নদীর উপর সুচিপাড়া ব্রিজ থেকে চিখটিয়া ব্রিজ পর্যন্ত দু-কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে নির্মম কাজ করার পর এমাসেই এটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও পার্কিংয়ের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে বিলম্ব হওয়ায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান তানিয়া এন্টারপ্রাইজের সাইড ইঞ্জিনিয়ার দ্বীপক হালদার জানান, ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দু-এক মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।

বিআইডব্লিউটিএর কারিগরী সহকারী আরিফ হোসেন জানান, জুন মাসে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু উভয় দিকে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা বর্ধিত করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি জানান, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রায় ১৭.৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পার্কিংয়ের জন্য নতুন করে আরও ২ একর জমির অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলে অল্পসময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।

ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলে শাহরাস্তি উপজেলার দৃশ্যপট বদলে যাবে বলে অনেকের ধারনা। এই ওয়াকওয়েটির সুফল শুধু শাহরাস্তি বাসিই ভোগ করবেনা সাথে সাথে উপজেলার দুপাড়ের জনগন, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার জনগন অল্প সময়েই ওয়াকওয়েটির সুফল ভোগ করবে।

ধারণা করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে ঘিরে ব্যবসায়ি কেন্দ্র গড়ে উঠবে। জনগণের অবাধ বিচরণের ফলে প্রাণচাঞ্চল হয়ে উঠবে শাহরাস্তি উপজেলা। ইতিমধ্যেই ডাকাতিয়া পড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রিক কপি পার্ক। প্রতিদিনই এখানে শত শত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এ অঞ্চল। ওয়াকওয়েটির কাজ সমাপ্ত হলে জনগণের পদচারণা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

Facebook Comments Box