চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে তথাকথিত সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন এক অসহায় গৃহবধূ।
ঘটনাটি ৩১ মে বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরে বাদীর ভাড়া বাসায় ঘটে।
জানা যায়, ওইদিন বিকেলে উপজেলার উত্তর নিজমেহার আখন্দ বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের পুত্র নোমান হোসেন আখন্দ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত প্রশিক্ষক শান্তা আক্তারের কাছে ৭ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। শান্তা তাৎক্ষণিক না দেয়া আবারও মুঠোফোনে একই পরিমান টাকা দাবি করেন। এঘটনায় শান্তা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বাদী শান্তা বলেন, নোমান প্রায়ই আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে টাকা দাবি করতো। আমি তাকে কখনও টাকা দেইনি। এভাবে বহুদিন যাবত তিনি আমাকে বিরক্ত করছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরে সে আমার ভাড়া বাসায় যায় এবং ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি চলে যান এবং বিকেলে তার মুঠোফোনে আবারও টাকা দাবি করেন। এসময় আমি কেন আপনাকে টাকা দিবো? একথা বললে তিনি বলেন, তুমি মানুষের কাছ থেকে চাকুরী দিবে বলে টাকা নিয়েছে। তাই আমিসহ আমরা ৭জন তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। যদি ৭জনকে ৭ হাজার টাকা দাও তাহলে এটা বন্ধ করবো। আমাদের কাছে তোমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তখন আমি নোমানকে আবারও বললাম, আপনার কাছে অভিযোগ দিয়েছে এবং কিসের অভিযোগ দিয়েছে তা আমাকে বলুন। আমি ওনার সাথে বসবো। তখন তিনি বলেন, কে কিংবা কি অভিযোগ দিয়েছে তা তোমাকে বলা যাবেনা। তুমি টাকা দাও না হলে আমরা তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। তখন আমি মুঠোফোনের কলটি কেটে দেই। এক প্রশ্নের জবাবে শান্তা বলেন, আমি তার উপরে অতিষ্ঠ ও তার হুমকি ধমকির কারনে ভয়ভীতি পেয়ে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নোমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মুঠোফোনের রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দুষ্টুমি করেছি!
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।