শাহরাস্তিতে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে আপন চাচাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা মেহেদী হাসান রাকিবের বিরুদ্ধে।
গত ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উওর ইউনিয়নের উল্লাশ্বর গ্রামের চারু পাটোয়ারী বাড়ির জাফর আলীকে (৫০) তার ভাই আনছর আলী ও ভাতিজা মেহেদী হাসান রাকিব (২৮) মারধর করার এই ঘটনা ঘটে।
এতে মারাত্মক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় জাফর আলী। মারধরের ফলে তার বাম হাত ভেঙে যায়। এই ঘটনায় ভাতিজা মেহেদী হাসান রাকিব ও ভাই আনছর আলীর বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আহত জাফর আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাফর আলী ও তার ভাই আনছর আলী পরিবারে সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এর ফলে একাধিক বার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। যা স্থানীয় ভাবে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে সমাধান করা যায়নি। ঘটনার দিন রাকিব ও তার বাবা জাফর আলীকে কিল-ঘুষি দিয়ে মেরে আহত করে। এবং রাকিব কোদালের ডান্ডা দিয়ে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে জাফর আলীকে। এতে তার হাতের কব্জি ভেঙে যায়।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রাকিব আহত জাফর আলীর ভাই আনছর আলীর ছেলে।
জানা যায়, মেহেদী হাসান রাকিব স্থানীয় একজন পশুর ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, মেহেদী হাসান রাকিব তাদের প্রতিবেশীদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। এমনি তাদের জায়গায় যাওয়া মুরগীকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ করেছে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, তাকে আমি মারি না। তিনি নিজেই পড়ে হাত ভেঙেছেন৷
এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনটি সত্যি। তারা যেহেতু আইনের আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টা এখন আইন অনুসারেই সমাধান হবে।
এই বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুলফিকার আলি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে নিয়মিত মামলা করা হবে। এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ যে, এর আগেও একাধিক বার আহত জাফর আলীর ছোট ছেলে মফিজুল ইসলামকে মারধর করেছে মেহেদী হাসান রাকিব। সেই ঘটনায়ও শাহরাস্তি থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো।