রুহুল আমিন খাঁন স্বপন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ঘন্টায় ঘন্টায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হচ্ছে। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এরই মধ্যে দিন-রাতে প্রায় অর্ধেক সময়ের বেশি ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। দিনরাত মিলিয়ে ১২ হতে ১৪ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পৌর সদরে বিদ্যুৎ একটু ভালো থাকলেও গ্রামে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহকরা।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে জানান, ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিস ও একই উপজেলার আওতাধীন কামতা জোনাল অফিস মিলিয়ে ১ লক্ষ ৪১ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের ৩৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে আমরা মাত্র ১৭ বা কোন কোন সময় ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ফলে বার বার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
পৌর সদরে তুলনা মুলক কম লোডশেডিং করা হলেও গ্রামঞ্চলে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং করা হচ্ছে। কোনো কোনো ঘন্টায় ২ বারও লোডশেডিং করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুতের দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তীব্র এ গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক শরীফ হোসেন বলেন, গ্রামে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে যেন আসার কোন সময় থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর এলেও আধা ঘন্টাও থাকেনা, আবার চলে যায়। তিনি আরও বলেন, ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় এবং অসহ্য গরমে মানুষ রাতে শান্তিমত ঘুমাতেও পারছে না।
বিদ্যুতের গ্রাহক বেলাল হোসেন (৪০), শাহজাহান (৬০) করিম উদ্দিন (৪৫)সহ আরও বেশ কয়েকজন গ্রাহক চড়ম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার শুধু বলে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন হয়েছে। এত উন্নয়ন হলে এখন বিদ্যুৎ গেলো কই?। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং’র কারনে ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে না। আমরা ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা। ফলে আমরা পল্লী বিদ্যুতের গ্রহকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি।
ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা করছে। আমরা তাদের অনুরোধ করছি, অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সহযোগীতা করার জন্য।