ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
শিরোনাম:
শাহরাস্তি থানার গৌরবময় অর্জন: অভিন্ন মানদণ্ডে চার বিভাগে পুরস্কার পেলেন কর্মকর্তারা চাঁদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২৯৫ পিস ইয়াবা ও ৪৫ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ইতিহাস কি নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে? ১৯৪১ ও ২০২৫ সালের আয়নায় বিশ্ব শাহরাস্তিতে রাগৈ ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ফজরের নামাজ, দৌড় আর স্বাস্থ্যকর নাশতায় নতুন সকালের সূচনা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় শাওনের পরিবার: শাহরাস্তির কিশোর হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই শাহরাস্তিতে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২ মাদক ব্যবসায়ী শাহরাস্তিতে গ্যারেজের তালা ভেঙে এক রাতে তিনটি অটোরিকশা চুরি: অজ্ঞাত চক্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রশিদপুর একতা বন্ধনের মানবিক উদ্যোগ: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবককে আর্থিক সহায়তা শাহরাস্তিতে গাছে উস্কানিমূলক স্টিকার: জামায়াতের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরির অভিযোগ ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা: শাহরাস্তিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

মতলবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বসতঘর পুড়ে ছাই, আহত ৫

  • অফিস ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • ৫০৮০৫ Time View

সমির ভট্টাচার্য্য : মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২ নং নায়েরগাঁও ইউনিয়নের খর্গপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ওই গ্রামের এক পরিবারের পাঁচজন আহত হন। আগুনে মালামালসহ বসতঘরটি পুড়ে যায়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরটির এক পাশে অবস্থিত রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। রান্নাঘরের তাপে আচমকা বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই মালামালসহ গোটা বসতঘরটি পুড়ে যায়। এ সময় রান্নাঘরে থাকা রহিমা বেগম এবং বসতঘরে অবস্থান নেওয়া তাঁর স্বামী কামরুল হোসেন, ওই দম্পতির মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে এসে দগ্ধ হন কামরুল হোসেনের ভাতিজা মো. সজিব (১৯) ।

দগ্ধ ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন এবং তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীদের জানান।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনস্থলে যান এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ ওই পাঁচজনকে তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁরা তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।

কৃষক কামরুল হোসেনের জেঠাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রহিমা বেগমের অবস্থা শঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের শরীরেরও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। একমাত্র বসতঘরটি পুড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারটি এখন সর্বস্বান্ত। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তি থানার গৌরবময় অর্জন: অভিন্ন মানদণ্ডে চার বিভাগে পুরস্কার পেলেন কর্মকর্তারা

মতলবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বসতঘর পুড়ে ছাই, আহত ৫

Update Time : ০৭:২১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

সমির ভট্টাচার্য্য : মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২ নং নায়েরগাঁও ইউনিয়নের খর্গপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ওই গ্রামের এক পরিবারের পাঁচজন আহত হন। আগুনে মালামালসহ বসতঘরটি পুড়ে যায়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরটির এক পাশে অবস্থিত রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। রান্নাঘরের তাপে আচমকা বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই মালামালসহ গোটা বসতঘরটি পুড়ে যায়। এ সময় রান্নাঘরে থাকা রহিমা বেগম এবং বসতঘরে অবস্থান নেওয়া তাঁর স্বামী কামরুল হোসেন, ওই দম্পতির মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে এসে দগ্ধ হন কামরুল হোসেনের ভাতিজা মো. সজিব (১৯) ।

দগ্ধ ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন এবং তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীদের জানান।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনস্থলে যান এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ ওই পাঁচজনকে তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁরা তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।

কৃষক কামরুল হোসেনের জেঠাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রহিমা বেগমের অবস্থা শঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের শরীরেরও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। একমাত্র বসতঘরটি পুড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারটি এখন সর্বস্বান্ত। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

Facebook Comments Box