
সমির ভট্টাচার্য্য : মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২ নং নায়েরগাঁও ইউনিয়নের খর্গপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ওই গ্রামের এক পরিবারের পাঁচজন আহত হন। আগুনে মালামালসহ বসতঘরটি পুড়ে যায়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরটির এক পাশে অবস্থিত রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। রান্নাঘরের তাপে আচমকা বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই মালামালসহ গোটা বসতঘরটি পুড়ে যায়। এ সময় রান্নাঘরে থাকা রহিমা বেগম এবং বসতঘরে অবস্থান নেওয়া তাঁর স্বামী কামরুল হোসেন, ওই দম্পতির মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে এসে দগ্ধ হন কামরুল হোসেনের ভাতিজা মো. সজিব (১৯) ।
দগ্ধ ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন এবং তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীদের জানান।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনস্থলে যান এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ ওই পাঁচজনকে তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁরা তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
কৃষক কামরুল হোসেনের জেঠাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রহিমা বেগমের অবস্থা শঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের শরীরেরও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। একমাত্র বসতঘরটি পুড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারটি এখন সর্বস্বান্ত। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।