ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাহরাস্তিতে যুবকদের সাহসিকতায় চুরি হওয়া ১৪টি গরু উদ্ধার শাহরাস্তিতে উপজেলা ছাত্রদল নেতাকে হামলার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল দুর্বৃত্তের হামলায় শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কবি নজরুল সরকারি কলেজে পবিত্র ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালিত শাহরাস্তিতে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত থেকেও বেতন তোলেন শিক্ষিকা শ্রীপুরে বাড়ি দখলের চেষ্টা অভিযোগ এক নারীর বিরুদ্ধে যুবদল নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ-সেক্রেটারি মেছবাহ উদ্দিন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসেনার আয়োজনে ঈদে মিলাদুন্নবি সাঃ স্বাগত র‍্যালি ও আলোচনা সভা কবি নজরুল সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান

গৃহশিক্ষকের হাতে শিশু খুন:লক্ষ্য ছিলো মুক্তিপন আদায়!

রুহুল আমিন খাঁন স্বপনঃ ফরিদগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। নিহত সোহানের গৃহশিক্ষক এসএসসি পরীক্ষার্থী আ: আহাদ (১৮) মুক্তিপণ আদায়ের আশায় অপহরণ ও পরে হত্যা করে। বুধবার (২৪মে) দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যা মামলার বিষয়ে অবহিত করেন।

প্রেস ব্রিফিং ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান নিঁখোজ হয়। পরে তার বাবা আনোয়ার হোসেন পরদিন থানায় জিডি করেন।

নিঁখোজের ৪দিন পর গত ১৯মে শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সোহানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এব্যাপারে ওইদিনই সোহানের পিতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনার তদন্তের এক পর্যায়ে সোহানের গৃহশিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী আ: আহাদকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আ: আহাদ (১৮) হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশের কাছে সে জানায়, ভারতীয় টিভি সিরিয়াল সিআইডির দেখে সে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল দেখে অনুপ্রাণিত হয়। ঘটনার দিন ১৫মে মাগরিব নামাজের পর সোহান বাড়ি ফেরার সময় তাকে অপহরণ করে পাশ^বর্তী নার্সারীতে নিয়ে মুখ ও গলা চেপে ধরলে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

পরে আহাদ তার মায়ের মুঠো ফোনে নতুন সীমকার্ড দিয়ে সোহানের মা ফাতেমা বেগমের মুঠো ফোনে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য কল করে। কিন্তু কল রিসিভ না করায়, সে ফিরে গিয়ে সোহানের নিস্তেজ দেহ দেখে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে তার মরদেহ নার্সারীতে ফেলে রাখে। পরে সেও সোহানের পরিবারের অন্য সদস্যের মতো সোহানকে খুঁজতে বের হয়। রাত গভীর হলে তার চাচীর রান্না ঘর থেকে হাত দা নিয়ে বাড়ির পাশের একটি জমিতে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেয় সোহানকে। পরবর্তী সে নতুন সীমকার্ডটি পুকুরে ফেলে দেয়।

পুলিশ জানায়, আ: আহাদকে নিয়ে হত্যার সময় ব্যবহৃত জামাকাপড় ও হাত দা উদ্ধার করা হয়েছে।

এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মান্নান জানান, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ এর নেতৃত্বে আমরা থানা পুলিশ ৫দিনের পরিশ্রমে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। অপরাধী কিশোর আ: আহাদকে গ্রেফতার এবং মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

Facebook Comments Box
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে যুবকদের সাহসিকতায় চুরি হওয়া ১৪টি গরু উদ্ধার

গৃহশিক্ষকের হাতে শিশু খুন:লক্ষ্য ছিলো মুক্তিপন আদায়!

Update Time : ১২:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

রুহুল আমিন খাঁন স্বপনঃ ফরিদগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। নিহত সোহানের গৃহশিক্ষক এসএসসি পরীক্ষার্থী আ: আহাদ (১৮) মুক্তিপণ আদায়ের আশায় অপহরণ ও পরে হত্যা করে। বুধবার (২৪মে) দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যা মামলার বিষয়ে অবহিত করেন।

প্রেস ব্রিফিং ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান নিঁখোজ হয়। পরে তার বাবা আনোয়ার হোসেন পরদিন থানায় জিডি করেন।

নিঁখোজের ৪দিন পর গত ১৯মে শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সোহানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এব্যাপারে ওইদিনই সোহানের পিতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনার তদন্তের এক পর্যায়ে সোহানের গৃহশিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী আ: আহাদকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আ: আহাদ (১৮) হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশের কাছে সে জানায়, ভারতীয় টিভি সিরিয়াল সিআইডির দেখে সে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল দেখে অনুপ্রাণিত হয়। ঘটনার দিন ১৫মে মাগরিব নামাজের পর সোহান বাড়ি ফেরার সময় তাকে অপহরণ করে পাশ^বর্তী নার্সারীতে নিয়ে মুখ ও গলা চেপে ধরলে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

পরে আহাদ তার মায়ের মুঠো ফোনে নতুন সীমকার্ড দিয়ে সোহানের মা ফাতেমা বেগমের মুঠো ফোনে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য কল করে। কিন্তু কল রিসিভ না করায়, সে ফিরে গিয়ে সোহানের নিস্তেজ দেহ দেখে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে তার মরদেহ নার্সারীতে ফেলে রাখে। পরে সেও সোহানের পরিবারের অন্য সদস্যের মতো সোহানকে খুঁজতে বের হয়। রাত গভীর হলে তার চাচীর রান্না ঘর থেকে হাত দা নিয়ে বাড়ির পাশের একটি জমিতে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেয় সোহানকে। পরবর্তী সে নতুন সীমকার্ডটি পুকুরে ফেলে দেয়।

পুলিশ জানায়, আ: আহাদকে নিয়ে হত্যার সময় ব্যবহৃত জামাকাপড় ও হাত দা উদ্ধার করা হয়েছে।

এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মান্নান জানান, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ এর নেতৃত্বে আমরা থানা পুলিশ ৫দিনের পরিশ্রমে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। অপরাধী কিশোর আ: আহাদকে গ্রেফতার এবং মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

Facebook Comments Box